খুঁটির ধাক্কায় মৃত্যু ট্রেনযাত্রীর |
রেললাইনের পাশে থাকা অব্যবহৃত একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে মৃত্যু হয়েছে এক ট্রেনযাত্রীর। বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছেন আরও দু’জন। মৃত অমল হালদারের (২২) বাড়ি হাওড়ার উলুবেড়িয়া থানার মহেশপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় নারায়ণ-পাকুড়িয়া-মুরাইল স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা রেল অবরোধ করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অবরোধের জেরে ওই শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। এলাকাবাসীর অভিয়োগ, “রেললাইন ঘেঁষে থাকা ওই বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে আগেও বেশ কয়েক বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই প্রায় দু’বছর আগে সামান্য দূরে নতুন একটি খুঁটি বসানো হয়। কিন্তু পুরনো খুঁটিটি সরানো হয়নি।” এ দিন ওই খুঁটি সরানোরই দাবি জানান এলাকাবাসী। পরে রেলের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। হাওড়া থেকে খড়্গপুরগামী ট্রেনে চেপে পাঁশকুড়ার হাউরে আত্মীয়বাড়ি যাচ্ছিলেন অমল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই আত্মীয়। সকাল ১০টা নাগাদ নারায়ণ-পাকুড়িয়া-মুরাইল স্টেশনের কাছে মুখ বাড়াতেই পুরনো খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রেন থেকে নীচে পড়ে যান অমল। ধরতে গিয়ে পড়ে যান তাঁর সঙ্গে থাকা আত্মীয় বাপন দাস ও অন্য এক যাত্রী। মারা যান অমল। আহত দু’জনকে অন্য ট্রেনে চাপিয়ে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।
|
লক্ষ্মণ শেঠের জামিন নামঞ্জুর |
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ -কাণ্ডে জেলবন্দি লক্ষ্মণ শেঠের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে। বৃহস্পতিবার জেলা -দায়রা বিচারকের এজলাসে জামিনের আর্জি জানিয়ে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলকে মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে। সিআইডি -র আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই চার্জশিটে লক্ষ্মণবাবুর নাম রাখা হয়েছিল। তদন্ত শুরুর পরেই তিনি আত্মগোপন করেন। ‘ফেরার’ হওয়ায় আদালত পরোয়োনাও জারি করেছিল। ১৭ মার্চ মুম্বই থেকে অন্য দুই অভিযুক্ত অমিয় সাউ এবং অশোক গুড়িয়ার সঙ্গে লক্ষ্মণবাবুকে গ্রেফতার করে সিআইডি। জামিনের বিরোধিতা করেন নিখোঁজদের পক্ষের আইনজীবীও। বুধবার অমিয় সাউয়েরও জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছিল। আজ, শুক্রবার অশোক গুড়িয়ার জামিনের আর্জির শুনানি হবে।
|
সরকারি এক আধিকারিকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে। বৃহস্পতিবার দুর্গাচক থানা এলাকার অনুসূয়া আবাসনে এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত কাশীনাথ মাজি (৪৩) হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা হলেও স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে কর্মসূত্রে হলদিয়ায় থাকতেন। তিনি রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন নিগমের অধীনস্থ ক্ষুদ্র শিল্পতালুকের আধিকারিক ছিলেন। এ দিন সকালে ছেলেমেয়েদের স্কুলে ছাড়তে গিয়েছিলেন কাশীনাথবাবুর স্ত্রী বর্ণালীদেবী। আধ ঘণ্টা পর বাড়িতে ফিরে জানলা দিয়ে কাশীনাথবাবুর ঝুলন্ত দেহটি দেখতে পান তিনি। বর্ণালীদেবী জানিয়েছেন, সম্প্রতি অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর স্বামী। পুলিশের অনুমান, অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন কাশীনাথবাবু।
|
বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হল এক রিকশা-চালকের। অসীম প্রামাণিক (৫৬) নামে ভবানীপুরের বাড়ঘাষিপুরের ওই বাসিন্দাকে বৃহস্পতিবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে আনা হলে পথেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক সমস্যায় ছিলেন ওই ভ্যান-রিকশা চালক। সেই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের অনুমান। |