|
|
|
|
ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল-কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে এগরার উড়িজলকর গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর বাবা। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী বছর পঁয়ত্রিশের রবীন্দ্র মান্না পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উড়িজলকর গ্রামের বাসিন্দা ওই পরিবারের মেয়েটি জন্ম থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। এখন তার বয়স ১৯ বছর। বুধবার সকালে ওই তরুণীর বাবা-মা মাঠে ধান কাটতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বেলা ১১টা নাগাদ মেয়েটির মা বাড়ি ফিরে দেখেন রবীন্দ্র তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। ওই তরুণীর মায়ের চিৎকারে রবীন্দ্র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন মেয়েটির মার সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তিও হয়। তবে প্রতিবেশীরা আসার আগেই পালিয়ে যান রবীন্দ্র।
এগরা-২ ব্লকের দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েইছে। ধর্ষণের চেষ্টার এই অভিযোগ ঘিরে সেই কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিবাহিত ও দুই সন্তানের বাবা রবীন্দ্র এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী বলেই পরিচিত। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের কাজল জানার খুড়তুতো ভাইও। তৃণমূলের দেশবন্ধু অঞ্চল সভাপতি অলোক মহাপাত্রের দাবি, “ঘটনাটি সাজানো। রবীন্দ্র ব্যক্তিগত কাজে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। কাজল জানার মদতে তাঁর অনুগামীরা রবীন্দ্রকে মারধর করেন। তার পর ঘটনা সাজিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।” অলোকবাবুর অভিযোগ, বছর দেড়েক আগে পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে অনাস্থা এনে সরানোর সময় অপসারিতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কাজলদেবী। তখন থেকেই তিনি সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের বিরোধিতা করছেন। রবীন্দ্র সক্রিয় ভাবে এলাকায় দলের কাজ করেন বলেই ওঁকে ফাঁসানো হল। অন্য দিকে কাজলদেবীর বক্তব্য, “অলোকবাবুরা নিজেদের গোষ্ঠীর সমর্থন বাড়াতে রবীন্দ্রের মতো সিপিএম থেকে লোকজনদের নিয়ে আমাকে এড়িয়ে পঞ্চায়েত ও এলাকায় সংগঠনের কাজ করছেন। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলেই আমাদের সঙ্গে সিপিএমকে জড়িয়ে মিথ্যে বলা হচ্ছে। ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার পরবর্তী কোনও কিছুর সঙ্গে আমি যুক্ত নই। একটা সামাজিক অপরাধকে আড়াল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনীতিকে জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|