|
|
|
|
নির্দেশ ঘিরে ক্ষোভ, খড়্গপুরের রেলওয়ে গার্লসে ‘ঘেরাও’ অধ্যক্ষা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কতক্ষণ স্কুলে থাকতে হবে, এ সংক্রান্ত এক নির্দেশিকা ঘিরে খড়্গপুরের রেলওয়ে গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নির্দেশ শিথিল করার দাবিতে বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষা করবী মুখোপাধ্যায়কে ঘেরাও করে রাখেন একাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের অবশ্য বক্তব্য, ঘেরাও নয়, নিজেদের কথা জানাতেই তাঁরা অধ্যক্ষার কাছে গিয়েছিলেন। অধ্যক্ষা যে নির্দেশের কথা বলেছেন, তা মেনে চলা সম্ভব নয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে নারাজ অধ্যক্ষা। তাঁর কথায়, “স্কুলের ব্যাপারে আমি সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলব না।” শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘেরাও-বিক্ষোভের জেরে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত স্কুলেই আটকে ছিলেন অধ্যক্ষা। জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে স্কুল-সংক্রান্ত একটি ‘গাইডলাইন’ তৈরি হয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চিফ পারসোনেল অফিসার সেই সময়ে ওই ‘গাইডলাইন’ স্কুলগুলিতে পাঠিয়ে দেন। যেখানে প্রায় ২৪টি নির্দেশের উল্লেখ ছিল। এর অধিকাংশই কার্যকর হয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল খড়্গপুরের ডিভিশনের সিনিয়র পারসোনেল অফিসার ফের একটি নির্দেশিকা পাঠান। ১৬ এপ্রিল ওই নির্দেশিকা রেলের স্কুলে এসে পৌঁছয়। যেখানে বলা হয়, বছরের মধ্যে অন্তত ২২০ দিন স্কুল খোলা রাখতে হবে। এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিনে ৮ ঘণ্টা করে স্কুলে থাকতেই হবে। এর মধ্যে ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ক্লাস করতে হবে। ২০০২ সালের গাইডলাইনেও এই দু’টি নির্দেশের উল্লেখ ছিল। কিন্তু, তা কার্যকর হয়নি। কিন্তু নতুন নির্দেশ কার্যকর করতে ‘তৎপর’ হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। নির্দেশিকা মেনে ৮ ঘণ্টা স্কুলে থাকতে হলে স্কুলে আসতে হবে সকাল সাড়ে ৯ টায়। স্কুল থেকে বেরোতে হবে বিকেল সাড়ে ৫ টায়। অন্য দিকে, এখন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে স্কুল শুরু হয়। ছুটি হয়ে যায় বিকেল সাড়ে ৪ টায়। সকাল সাড়ে ৯ টায় স্কুলে এসে কী হবে, তখন তো ছাত্রীরাই আসবে না, মূলত অধ্যক্ষার কাছে এই কথাই বলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নির্দেশ শিথিল করারও আবেদন জানান। যদিও অধ্যক্ষা জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই তিনি যা পদক্ষেপ করার করেছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই ঘেরাওয়ের জেরে অবশ্য স্কুল-ক্যাম্পাসে অশান্তি হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অধ্যক্ষা ঘেরাও হয়েছেন, এমন কোনও খবর তাদেরও দেওয়া হয়নি। |
|
|
|
|
|