|
|
|
|
হকার, সমাজবিরোধীদের দখলে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা রোড |
যাত্রী-প্রতীক্ষালয় চলে গিয়েছে হকারদের দখলে। স্ট্যান্ডের মাঝের ডিভাইডারের পাশে গজিয়ে উঠেছে গুমটি দোকান। পর্যাপ্ত আলো নেই। সন্ধ্যা হলেই আলো-আঁধারিতে জুয়া-সাট্টার আসর বসে যায়।
ছোটখাটো চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে নিত্য। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোড কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের এ হেন পরিবেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন যাত্রীরা। অভিযোগ, অসামাজিক কার্যকলাপ দিন দিন বেড়ে চললেও নিষ্ক্রিয় পুলিশ-প্রশাসন। |
|
বাসস্ট্যান্ড দখল করে বসেছে ফল-বাজার। নিজস্ব চিত্র। |
রেল-স্টেশন লাগোয়া চন্দ্রকোনা রোডের বাসস্ট্যান্ডটি তৈরি হয়েছিল বছর পনেরো আগে। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের উদ্যোগেই তৈরি হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডটি। মেদিনীপুর-রানিগঞ্জ সড়ক ছাড়াও ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রোড, চন্দ্রকোনা রোড-গোয়ালতোড় সড়কপথে অন্তত শ’দেড়েক বাস চলাচল করে। বাসযাত্রী, ট্রেনযাত্রী মিলে বাসস্ট্যান্ডে ভিড় থাকে ভালই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই বাসস্ট্যান্ডে উপযুক্ত পরিকাঠামোর বড় অভাব। স্ট্যান্ডের সর্বত্র আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতে আলো-আঁধারি পরিবেশে সমাজবিরোধীরা আড্ডা বসায়। সন্ধ্যা নামলেই প্রকাশ্যে জুয়া, সাট্টা খেলা শুরু হয়ে যায়। চলে ইভটিজিং।
নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় অপরিষ্কার বাসস্ট্যান্ড। তার উপরে হকাররা যাত্রী-শেডগুলি দখল করে ব্যবসা ফেঁদে বসায় খোলা আকাশের নীচেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। গোটা স্ট্যান্ড জুড়ে পানের স্টল থেকে শুরু করে ফল, স্টেশনারি, চপ-মুড়ির দোকান। সরকারি বাসস্ট্যান্ড এই ভাবে বেদখল হয়ে গেলেও ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের। অথচ, স্থানীয় সাতবাঁকুড়া পঞ্চায়েতের নিয়ন্ত্রণাধীন এই বাসস্ট্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থা প্রতি বাস-পিছু নিয়ম করে ৫ টাকা নেয়। স্ট্যান্ডের দুর্দশা কাটানোর জন্য তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না, জানতে চাইলে বেসরকারি ওই সংস্থার তরফে বরুণ চৈঁরা বলেন, “স্ট্যান্ডে বাস নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঢুকছে ও ছাড়ছে কি না দেখার দায়িত্ব আমাদের। এর বাইরে সব কিছু দেখার কথা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের।” বাসস্ট্যান্ডের দুরবস্থার কথা মেনে নিয়ে সাতবাঁকুড়া পঞ্চায়েতের প্রধান লিয়াকত আলি বলেন, “স্ট্যান্ডে হকার সংখ্যা এবং নানা রকম অসামাজিক কাযর্কলাপ বেড়ে চলছে।
আমরা পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তবে স্ট্যান্ডের পরিবেশ ঠিকঠাক রাখা আমাদেরও দায়িত্ব। ব্যবস্থা নিচ্ছি।” গড়বেতার ওসি শৈলেন বিশ্বাসের দাবি, “বাসস্ট্যান্ডে রাতে পুলিশ টহল দেয়। আগের চেয়ে দুষ্কর্ম কমেছে। স্ট্যান্ডের চার দিকে আলোর ব্যবস্থা করার জন্যও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে বলেছি।” |
|
|
|
|
|