ব্যাঙ্ক থেকে ফেরার পথে এক বৃদ্ধের সাইকেল থেকে টাকা-ভর্তি ব্যাগ হাতিয়ে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের চাউলপট্টিতে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ চাউলপট্টির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে যান সমর বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তারকেশ্বর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে চাকরি করতেন। গত ডিসেম্বর মাসে অবসর নেন। সমরবাবু জানান, এ দিন তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ২ লক্ষ টাকা তোলেন। ওই টাকা একটি ব্যাগে ভরে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সাইকেলে চেপে বাড়ির পথে রওনা হন।
সমরবাবু বলেন, “চাউলপট্টি এলাকায় যানজট ছিল। খুব রোদও ছিল। তাই সাইকেল দাঁড় করিয়ে একটি চায়ের দোকানের সামনে ছায়ায় দাঁড়াই। কয়েক সেকেন্ড অন্যমনস্ক হয়েছিলাম। তার মধ্যেই কেউ ব্যাগটা নিয়ে চম্পট দেয়।” তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে ব্যাঙ্ক থেকেই আমার পিছু নিয়েছিল কেউ। না হলে ওইটুকু সময়ের মধ্যে ব্যাগটা তুলে নেবে কী ভাবে? সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম। আমার অবসরকালীন সম্বল দুষ্কৃতীরা নিয়ে গেল।” টাকা ছাড়াও তাঁর এবং মেয়ের চারটি ব্যাঙ্কের পাস বই এবং একটি চেক বইও ব্যাগে ছিল বলে জানিয়েছেন সমরবাবু। তারকেশ্বর থানায় ঘটনার কথা লিখিত ভাবে জানান ওই বৃদ্ধ। চন্দননগরের এসডিপিও তথাগত বসু বলেন, “তারকেশ্বরের পিয়াসারা অঞ্চলে একটি কেপমারির চক্র সক্রিয়। পুলিশ দেখছে ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও দুষ্কৃতীচক্র জড়িত।” চাউলপট্টি এলাকায় ছিনতাই বা কেপমারির ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। কিছু দিন আগেও দুই ব্যাক্তি কেপমারির অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। ওই দু’টি ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ফিরছিলেন তাঁরা। চাউলপট্টি এলাকায় একাধিক ব্যাঙ্ক রয়েছে। ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনায় সাধারণ মানুষ তটস্থ। পুলিশ দুষ্কৃতীদের মোকাবিলার আশ্বাস দিয়েছে। যদিও, পুলিশের যাবতীয় আশ্বাস সত্ত্বেও দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপ চলতেই থাকায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরাও। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। পুলিশি নজরদারি জোরদার করার দাবি উঠেছে। গত ১১ এপ্রিল রাতে চাউলপট্টিতেই গুদাম পাহারা দেওয়ার সময় দুই যুবকের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। দু’জনকে বেঁধে মারধর করা হয়। মারা যান এক জন। দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও ওই ঘটনায় জড়িত কোনও দুষ্কৃতীকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। |