মাওবাদীদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ওড়িশার বিজেডি বিধায়ক ঝিনা হিকাকা। বিধায়কের অভিযোগ, “আমার দুরবস্থা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত ছিল না রাজ্য সরকার। তাই আমার মুক্তির জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেডি সাংসদ জয় পণ্ডার দাবি, “হিকাকাকে নিয়ে আমরা সকলেই খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পুরো বিষয়টি দেখতেন।” তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই হিকাকাকে কিছু বলতে চান না পণ্ডা। কারণ তাঁর কথায়, “সবে মাত্র হিকাকা অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আমার মনে হয় তাই তিনি ‘স্টকহোম সিনড্রোমে’ ভুগছেন। এ ক্ষেত্রে অপহরণকারীদের প্রতি বন্দিদের একটা সহানুভূতি জন্মে যায়।” |
স্ত্রীর সঙ্গে হিকাকা। বৃহস্পতিবার কোরাপুটে। ছবি: পিটিআই |
গত ২৪ মার্চ কোরাপুটের লক্ষ্মীপুর থেকে মাওবাদীরা অপহরণ করেছিল হিকাকাকে। কালই একটি অডিও বার্তায় মাওবাদীরা জানিয়েছিল, ‘জনতার আদালতে’ বিজেডি বিধায়ক কথা দিয়েছেন তিনি ইস্তফা দেবেন এবং দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখবেন না। এই শর্তে আজ তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেই মতো ৩২ দিন পর মাওবাদীরা মুক্তি দিল হিকাকাকে। নারায়ণপটনার কাছে বালিপেটা গ্রামে হিকাকাকে আজ স্ত্রী কৌশল্যা মাঝি এবং আইনজীবী নীহাররঞ্জন পট্টনায়কের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি
লক্ষ্মীপুরের বিধায়ক। তবে রাজ্য সরকারকে অভিযুক্ত করলেও মাওবাদীদের প্রশংসা করে হিকাকা বলেন, “আমি ভাল আছি। মাওবাদীরা আমার সঙ্গে কোনও খারাপ
ব্যবহার করেনি।”
হিকাকাকে মুক্তি দিলেও এ দিনই মহারাষ্ট্রের গড়ছিরৌলিতে মাওবাদী হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। সেখানে দুই ব্যক্তিকে খুন করে মাওবাদীরা। খবর রটেছিল ১০-১২জনকে অপহরণও করা হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের কোনও খবর তাদের কাছে নেই। যে দু’জনকে খুন করা হয়েছে, তারাও মাওবাদী সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। খুনের কারণ জানা যায়নি। |