পনেরোয় পা দেওয়ার আগেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয় ভারতের ৮ শতাংশ কিশোরী। ছেলেদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই হার যথেষ্ট কম। মাত্র ৩ শতাংশ। ২০০৫-২০১০ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছরের ভারতীয় ছেলেমেয়েদের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ইউনিসেফ। ‘প্রোগ্রেস ফর চিলড্রেন’ নামে ওই রিপোর্ট এত দিনে প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য ল্যানসেট’ পত্রিকায়। তাই মাত্র দু’বছরে এই প্রবণতায় বিশাল কোনও পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
এত দ্রুত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় ওই মেয়েদের অনেকেই কম বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ২০ থেকে ২৪ বছরের তরুণীদের প্রশ্ন করে জানা গিয়েছে, তাঁদের ২২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই মা হয়েছে। ইউনিসেফেরই আর একটি সমীক্ষা-রিপোর্ট ‘দ্য স্টেট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড চিলড্রেন’ থেকে জানা যাচ্ছে এই তথ্য।
বিশেষজ্ঞদের কাছে উদ্বেগের বিষয় এটাই যে কম বয়সে যৌন সংসর্গের সময় সুরক্ষার কথাটা একেবারেই মাথায় থাকে না কিশোরীদের। তাই পরবর্তী কালে এড্স বা সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার-সহ আরও নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তা সত্ত্বেও ভারতে বাল্যবিবাহের খামতি নেই। ২০০০ থেকে ২০১০ টানা দশ বছর সমীক্ষার পরে ইউনিসেফের দ্বিতীয় রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, নানাবিধ প্রচার সত্ত্বেও ভারতে বালিকাদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা এখনও যথেষ্ট বেশি। ১৫ থেকে ১৯ বছরের মেয়েদের ৩০ শতাংশই বিবাহিত। ছেলেদের ক্ষেত্রে এই হারও কম, মাত্র ৫ শতাংশ। আর ২২ থেকে ২৪ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ বলেছে ১৮ ছোঁয়ার আগেই তাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সব চেয়ে চিন্তার ব্যাপার, বিয়ে হোক বা না হোক, এড্স সম্পর্কে অথবা যৌন সংসর্গের সময় সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন মাত্র ১৯% কিশোরী। তবে এরই পাশাপাশি কিছুটা আশার কথা, ছেলেদের ক্ষেত্রে এই হার ৩৫ শতাংশ।
কিন্তু ১৫-১৯ বছরের মেয়েরা এইটুকুও জানে না যে, এক জন সুস্থ সবল মানুষেরও এড্স হতে পারে এবং এই রোগ রুখতে যৌন সুরক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি এক জন সঙ্গীর (যে এইচআইভি পজিটিভ নয়) সঙ্গেই সম্পর্ক রাখা বাঞ্ছনীয়। |