|
|
|
|
দুই রানওয়েই একসঙ্গে বন্ধ ছিল কেন, তদন্ত ডিজিসিএ-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
কলকাতার দু’টি রানওয়ে একসঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্তে নামছে ডিজিসিএ (ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন)। বুধবার দুপুরে ৩৫ মিনিটের জন্য বিমানবন্দরের দু’টি সমান্তরাল রানওয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয়। দু’টিতেই বড় বড় গর্ত থাকায় রানওয়ে দু’টি বিমান নামার জন্য নিরাপদ ছিল না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় রানওয়েতে গর্ত দেখতে পাওয়ার পরেও কেন তা বুধবার দুপুর পর্যন্ত ফেলে রাখা হল, তদন্ত মূলত তা নিয়েই। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, কর্তৃপক্ষ এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে পাঠাচ্ছে ডিজিসিএ।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়মমাফিক প্রতি বুধ ও শুক্রবার দুপুর একটায় প্রধান রানওয়েতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। বুধবারেও সেই কাজ করার জন্য আগে থেকেই নোটাম (নোটিস টু এয়ারমেন) জারি করা ছিল। প্রশ্ন উঠেছে, তা সত্ত্বেও কেন বুধবার দুপুর একটার মধ্যে দ্বিতীয় রানওয়ে সারানোর কাজ শেষ করা গেল না? যদিও প্রধান রানওয়েতে নিয়মমাফিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরুর আগেই তার উত্তর প্রান্তে বড়সড় একটি গর্ত দেখতে পাওয়া যায়। ওই অবস্থায় সেখানে কোনও বিমান নেমে এলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
বুধবার দুপুরে দুই রানওয়ে বন্ধ থাকায় প্রায় ১২টি বিমানকে আকাশে আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে চক্কর কাটতে হয়। কলকাতার আকাশে ৩৫ মিনিট চক্কর কাটা এক পাইলট বলেন, “আমি ১টা ১০ মিনিটে কলকাতার আকাশে পৌঁছে শুনি এই অবস্থা। বাধ্য হয়েই চক্কর কাটতে শুরু করি। কলকাতায় নামতে না পারলে আমাকে ভূবনেশ্বর বা ঢাকায় চলে যেতে হতো। হিসেব করে সেই জ্বালানি আমাদের রাখতেই হয়। তাই, ৩৫ মিনিট চক্কর কাটা এমন একটা বড় ব্যাপার নয়। কিন্তু, তার চেয়েও দেরি হলে সমস্যা হতে পারতো।” নামার অনুমতি পাওয়ার পরেও অন্য এক বিমানকে তিনি আগে নেমে যেতে দেন। সেই বিমানের জ্বালানি তুলনায় কম ছিল।
বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা বলেন, “প্রধান রানওয়ের উপরে নতুন আস্তরণ বসানোর কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এ কারণে একটি বিশেষজ্ঞ দলও গঠন করা হয়েছে। কলকাতার মাটিতে তাড়াতাড়ি জল জমে যায় বলে সেই কমিটি এখন একটি রিপোর্ট তৈরি করছে। কী ভাবে রানওয়েকে আরও শক্তপোক্ত করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|