অনুমতি ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার নালিশ
রাজ্য বিদুৎ বণ্টন কোম্পানির অনুমতি ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার অভিযোগ উঠল কুলটির একটি অনুষ্ঠান বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। বুধবার কুলটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্য বিদুৎ বণ্টন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, এই ঘটনায় কোম্পানির এক ঠিকাকর্মীও জড়িত রয়েছেন। ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য বিদুৎ বণ্টন কোম্পানির আসানসোল শাখার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মিতেশ দাশগুপ্ত জানান, কুলটি কলেজ মোড় এলাকায় একটি অনুষ্ঠান বাড়ি তৈরি হয়েছে। ওই বাড়িটিতে বিদুৎ বণ্টন কোম্পানির অনুমতি ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ জুড়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে আসতেই বর্ধমান কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্তদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালাই। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আমরা কুলটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।”
মিতেশবাবু আরও জানান, বাড়িটির সামনেই কোম্পানির একটি বিদ্যুৎস্তম্ভ থেকে তার দিয়ে সংযোগ জুড়ে নেওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েকটি তার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাড়িটি তৈরি করার সময় বিভিন্ন কাজে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছে তারও কোনও অনুমতি ছিল না। ওই অনুষ্ঠান বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে সাড়ে চার লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিদুৎ বণ্টন কোম্পানির বরাকর শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সমীর চট্টোপাধ্যায়।
এ দিকে, বিনা অনুমতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ জুড়ে নেওয়ার ঘটনার সঙ্গে দফতরের এক ঠিকাকর্মী জড়িত বলে জেনেছেন রাজ্য বিদুৎ বণ্টন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তের পরে তাঁদের অনুমান, ওই ঠিকাকর্মী ব্যক্তিগত স্বার্থে নিজের প্রভাব খাটিয়ে এই বেনিয়ম করেছেন। এই ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসানসোলের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মিতেশবাবু।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই অনুষ্ঠান বাড়ির অন্যতম মালিক সঞ্জয় মাজি। তাঁর দাবি, “আমরা ৬৪ হাজার টাকা জমা দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছি। রাজ্য বিদুৎ বণ্টন কোম্পানির কাগজও রয়েছে। ওঁরা না জেনেই অভিযোগ করছেন। কোনও বেনিয়ম করিনি।”
নিয়ম অনুযায়ী, বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য মিটার ও অন্য সরঞ্জাম বাবদ রাজ্য বিদুৎ বণ্টন কোম্পানির কাছে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয়। পরে রাজ্য বিদুৎ বণ্টন কোম্পানির পক্ষ থেকে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয় ও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য মিটার দেওয়া হয় বাড়ির মালিককে। রাজ্য বিদুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্তারা জানান, অনুষ্ঠান বাড়ির ওই মালিক টাকা জমা দিয়েছেন, কিন্তু তাঁকে এখনও মিটার দেওয়া হয়নি। তাঁর বাড়িতে সংযোগ দেওয়ার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ জুড়ে নেওয়ার অনুমতি তাঁকে কখনওই দেওয়া হয়নি।
পঞ্চায়েত ঘেরাও। সিপিএম পরিচালিত কাঁকসার আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত প্রধান বিপদতারণ পাত্র পাল্টা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের বাধায় প্রকল্পের গতি থেমে গিয়েছে। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত কার্যালয় ঘেরাও করা হয়। তৃণমূল নেতা কুলদীপ সরকার, চিন্ময় মণ্ডলের অভিযোগ, একশো দিনের কাজ চেয়েও কাজ পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। প্রধান পঞ্চায়েতে না থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.