উত্তরের চিঠি

নদীর ভাঙনে বিপন্ন প্রাচীন মন্দির
মহানন্দার তীরে বলরামপুরের মনসা মন্দির এবং সংলগ্ন মসজিদ।
মালদহ জেলার চাঁচল ২ নং ব্লকের অন্তর্গত বলরামপুর গ্রামের মনসা মন্দিরটি প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো। মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে লৌকিক বিশ্বাস ও জনশ্রুতি। মন্দিরটি প্রাচীন ইতিহাসের এক অনন্য নিদর্শন। এর পঞ্চাশ মিটারের মধ্যে রয়েছে একটি মসজিদ। মন্দিরের মন্ত্রোচারণ ও মসজিদের আজানের সুর মিলেমিশে তৈরি হয় সম্প্রীতির এক অনবদ্য ঐকতান। প্রতি বছর আশ্বিনের সংক্রান্তিতে তিন দিন ব্যাপী মনসা মেলা অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে মেলাটি হয়ে ওঠে মিলনমেলা। বর্তমানে মহানন্দার ভাঙনে মন্দিরটি বিপন্ন। উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ চান সরকার মন্দির বাঁচাতে তৎপর হোক। রক্ষা পাক পুরনো ইতিহাস। কিন্তু এখনও তেমন সাড়া মেলেনি। এই প্রাচীন পুরাকীর্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত সবাই।
বহাল দলতন্ত্র
বিভিন্ন সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে দেখতে পাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রায়ই পর্যটনকে কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের কথা ঘোষণা করছেন। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য রাজনীতিতে রিবর্তন হলেও মানসিকতার আদৌ পরিবর্তন হচ্ছে না। বাম আমলে দলতন্ত্রের চিরাচরিত ব্যবস্থা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের পরিপন্থী হয়ে উঠেছিল। বর্তমান সরকারের আমলে সেই ব্যবস্থাই অনুসৃত।
বাম আমলে পাহাড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা কিছু সময়ের জন্য পর্যটকদের ডুয়ার্সমুখী করে তোলে। ধীরে হলেও পর্যটন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ শুরু হয়। কিন্তু পর্যটন ভিত্তিক এই অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের হাত ধরেই শুরু হয়ে যায় দলতন্ত্র। নিজেদের লোকদের পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি। ফলে বেকার যুবক-যুবতীরা চাকরি পায় না। অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ও সমতার কথা প্রতিটি রাজনৈতিক দলই বলে থাকে। কার্যক্ষেত্রে এরা নিশ্চুপ।
লাটাগুড়ি অঞ্চলের রিসর্টগুলি সরকারি বিধি-নিষেধের তোয়াক্কাই করে না। কোনও কোনও রিসর্টের ক্ষেত্রে লিজ জমির পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। এদের পরিষেবা বাবদ ধার্য মূল্যও অত্যধিক। বাইরে থেকে আগত দর্শকরা বাধ্য হয়েই উক্ত পরিষেবা মূল্য বহন করেন। অথচ সরকার সচেষ্ট হলেই আশপাশের বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পর্যটন শিল্পে কাজে লাগিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে পারত। সরকারি হস্তক্ষেপে সাধারণ পর্যটকরা অনেক কম খরচে ভ্রমণের আনন্দ নিতে পারতেন। মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত ডুয়ার্সের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ত। ফলে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন এবং আর্থিক গতির সূত্র ধরেই পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন হত।
বাতিল রেলস্টেশন
মালদহ থেকে মুচিয়া স্টেশনের দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। প্রয়াত এ বি এ গনিখান চৌধুরী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মুচিয়া স্টেশনটি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিল। বর্তমানে এই স্টেশন চত্বরটি ঘিরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিকেল হলেই এখানে মানুষের ঢল নামে। তাস খেলা, মদের নেশা চলে। স্টেশন চত্বরটি যথেচ্ছ ভাবে নোংরা করা হয়। অবস্থা এমন, সাধারণ মানুষ এই চত্বরে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারবেন না।
বিগত দশ-বারো বছর এই স্টেশনটির ওপর দিয়ে একটি মাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন যায়। কিন্তু সেটি থামে না। অবশ্য কিছু মালবাহী ট্রেনও যাতায়াত করে। অথচ স্টেশন চত্বরটি সব সময়ই জনবহুল। সেটি শুধু অসামাজিক কাজকর্মের জন্য।
স্টেশনটির পাশে রাজ্য সড়ক রয়েছে। ফলে বাসিন্দাদের যাতায়াতে কোনও অসুবিধে হয় না। কিন্তু রেললাইন থাকা সত্ত্বেও রেলের প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না। সম্প্রতি শোনা গেছে রেল লাইনটি সংস্কার করা হবে এবং যাত্রী পরিষেবার কাজে রেলপথটি ব্যবহার করা হবে। দেখা যাক, বর্তমান রেল মন্ত্রক স্টেশনটির হৃতগৌরব ফিরিয়ে দিতে পারে কি না।
সংকীর্ণ রাস্তায় যানজট
শিবমন্দির থেকে যে রাস্তাটা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দিকে গিয়েছে, তার দু-দিকে জনবসতি। রাস্তাটা খুবই সংকীর্ণ। অথচ এই রাস্তাতেই পুরনো-নতুন বড় ট্রাক, ছোট গাড়ি, নানা রকমের বাস যাতায়াত করে। স্বভাবতই প্রবল যানজট হয়। প্রতিটি গাড়িই যত জোরে সম্ভব বিকট হর্ন বাজিয়ে অপরকে ডিঙিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অনেকে আবার হর্ন বন্ধই করে না। এই ভাবে প্রতিনিয়ত শব্দদূষণ, গাড়ির কালো ধোঁয়া যে স্থানীয় দোকানদার ও আশপাশের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, সে ব্যাপারে কারও কোনও হেলদোল নেই। শিলিগুড়ির আয়তন বাড়ছে। আমরা গ্রামের বাসিন্দা। পঞ্চায়েতের অধীন বলে কি আমরা এই মারাত্মক অবস্থার শিকার? আমাদের স্বাস্থ্য ও শান্তিরক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি। অনতিবিলম্বে এই দুর্বিষহ অবস্থার প্রতিকার করুন।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
উত্তরের চিঠি,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড
শিলিগুড়ি- ৭৩৪৪০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.