|
|
|
|
সংগঠন শক্ত করতে সচেষ্ট সিপিআরএম |
কৌশিক চৌধুরী • শিলিগুড়ি |
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকদের দলে টানতে আসরে নেমেছে কমিউনিস্ট পার্টি অব রেভ্যুলিশনারি মার্কসিস্ট (সিপিআরএম)। ইতিমধ্যে পাহাড়ে বিভিন্ন প্রান্তের মোর্চা এবং মোর্চা ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দলের সিপিআরএম নেতারা যোগাযোগ শুরু করেছেন। সম্প্রতি হরিয়ানা এবং দিল্লিতে মোর্চার শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতা সিপিআরএমে যোগ দিয়েছেন বলে দলের তরফে দাবি করা হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, সিপিআরএমে যোগ দেওয়া ওই নেতানেত্রীরা সকলেই কট্টরপন্থী বলে পরিচিত। সিপিআরএমের দাবি, গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) নিয়ে তাঁদের সঙ্গে মোর্চা নেতৃত্বের পুরোপুরি মতৈক্য এখনও হয়নি। সেই ‘দূরত্ব’কে কাজে লাগাতে চাইছে সিপিআরএম। সম্প্রতি দিল্লির গুরগাঁও-এ দলের তরফে একটি সভা হয়। সেখানে দিল্লি, হরিয়ানা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গোর্খা নেতারা যোগ দেন। সিপিআরএমের সাধারণ সম্পাদক তারামণি রাই, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এলেম লামা, অরুণ ঘাটানি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অরুণবাবু বলেন, “পাহাড়ের মানুষ ধীরে ধীরে মোর্চার দিক থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন। দেশের নানা প্রান্তে থাকা দার্জিলিঙের পাহাড়বাসীদের একাংশ আগে মোর্চায় থাকলেও এখন আমাদের দলে এসেছেন। দিল্লি, হরিয়ানায় মোর্চা নেতারা আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। পাহাড়ের বিভিন্ন নেতা, কর্মীদের সঙ্গে কথা চলছে। আগামী দিনে আলাদা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনে আমরাই আন্দোলন করব।” দিল্লি, হরিয়ানা কমিটি সবসময় কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ সৃষ্টিকারী আন্দোলন করবে বলে সিপিআরএমের এই কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জানিয়েছেন। যদিও বিষয়টিকে এখনই গুরুত্ব দিতে নারাজ মোর্চার প্রচার সচিব তথা বিধায়ক হরকা বাহাদুর ছেত্রী। তিনি বলেন, “দার্জিলিঙের মানুষ সিপিআরএম নেতাদের চেনেন। ওঁরা এখানে কী ধরণের সংগঠন চালায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হরিয়ানা, দিল্লিতে ওঁরা সংগঠন গড়ে তুলক। খুব ভাল কথা। বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি না।” সিপিআরএমের দাবি, হরিয়ানা, দিল্লির পাশাপাশি অসমের মোর্চার ইউনিট ভেঙেছে। ওই নেতা-কর্মীরা গোর্খা লিগের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। গোর্খা লিগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতির দাবি, “মোর্চার কাজকর্মে গোর্খারা অনেকেই হতাশ। শুধু হরিয়ানা, দিল্লি বা অসম নয় পাহাড়ের দলের কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছেন। অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ডুয়ার্সের লোকেরাও যোগাযোগ করেছেন। আমরা প্রথমে পাহাড় তার পরে বাইরে সংগঠন আরও জোরদার করার কাজ শুরু করেছি।” পাহাড়ের রাজনৈতির বিশ্লেষকেরা জানাচ্ছেন, দার্জিলিং পাহাড়ের বাইরে দেশের অন্যপ্রান্তে গোর্খাদের নিয়ে সংগঠন গড়ার কাজ সুবাস ঘিসিং-র আমালেই মূলত শুরু হয়। দিল্লি, হরিয়ানা, হিমাচল ছাড়াও উত্তর পূবাঞ্চলে জিএনএলএফের সংগঠন ছিল। দার্জিলিং পাহাড়ের কোনও আন্দোলন হলে সঙ্গে সঙ্গে ওই কমিটিগুলি রাস্তায় নামত। এতে দলীয় কর্মসূচি কেন্দ্রীয় সরকারের গোচরে আনা সহজ বলেই পাহাড়ের রাজনৈতিক নেতারা মনে করেছেন। জিএনএলএফের পরে কতৃত্ব যায় বিমল গুরুঙ্গের মোর্চার হাতে। কিন্তু, মোর্চা নেতাদের একাংশের কাজকর্ম নিয়ে দলের মধ্যেই নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|