বারাসত-সান্ডালিয়ার মধ্যে ডবল লাইন ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বসিরহাটে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুকুল রায় জানান, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হাসনাবাদ এবং সামসেরনগরের মধ্যেও ট্রেন চলবে। রেলমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্বভাবতই খুশি উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার মানুষ। এলাকায় ট্রেন চলবে শুনে আনন্দে বাজি ফাটিয়েছেন অনেকে। |
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত টাকি স্টেশন থেকে বেরিয়ে হাসনাবাদে ইছামতী এবং বরুনহাটে কাটাখালি নদীর উপর দিয়ে রেল লাইন যাবে হিঙ্গলগঞ্জ কলেজ পর্যন্ত। কলেজের পিছনে স্টেশন তৈরি হবে। সেই মতো আমলানি, হাসনাবাদ বিডিও দফতরের পিছন দিয়ে এগিয়ে ইছামতীর ধারে ইটভাটার উপর দিয়ে নদী পেরিয়ে চকপাটালি, রামেশ্বরপুর, বরুনহাট, কাঠাখালি, মামদপুর হয়ে হিঙ্গলগঞ্জ পর্যন্ত ইতিমধ্যেই জমি জরিপের কাজ শেষ হয়েছে। ৭০টি পিলার বসানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২০১০ সালের ২২ মে তৎকালীন রেলমন্ত্রী এবং বর্তমানে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসনাবাদ ও সামসেরনগরের মধ্যে রেল পরিষেবা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার মুকুলবাবুর ঘোষণায় আশ্বস্ত হয়েছেন সুন্দরবনের মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, হিঙ্গলগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেন চললে এই এলাকার মানুষের পক্ষে কলকাতায় যাতায়াত করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। একই ভাবে কলকাতা থেকে সহজেই এই এলাকায় আসা যাবে। এর ফলে পর্যটন ব্যবসারও আরও প্রসার ঘটবে। এলাকার মানুষ লাভবান হবেন। টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা অত্যন্ত খুশির খবর। এতে টাকি-হাসনাবাদের গুরুত্ব বাড়বে। রেলপথের যোগাযোগের সুবিধা হলে সুন্দরবন এলাকায় পর্যটক বাড়বে। এখানকার মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হবেন”
সিপিএমের তরফেও রেলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। সিপিএমের হিঙ্গলগঞ্জ জোনাল কমিটির সম্পাদক দেবাশিস বর্মনের প্রতিক্রিয়া, “এলাকায় উন্নয়ন হলে তা নিয়ে মতপার্থক্য থাকা উচিত নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুন্দরবন এলাকায় রেল লাইন পৌছনোর ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ায় আমরা অবশ্যই আনন্দিত। রেল যদি এখানে বাস্তব রূপ পায়, তা অভিনন্দনযোগ্য।” হিঙ্গলগঞ্জ নাগরিক কমিটির সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “ট্রেন চলবে শুনে মানুষ খুব খুশি। বাজি ফাটিয়ে আনন্দ করেছেন।” |