এএফ সি কাপ থেকে ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তা সত্ত্বেও জর্ডনে আল আরুবা ক্লাবের বিরুদ্ধে জিততে চাইছেন ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। জর্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে ফোনে লাল-হলুদ কোচ বললেন, “ছিটকে গেলেও এএফসি-তে বেশ কিছু ভাল ম্যাচ খেলেছি। তাই জর্ডনে জেতার আশা নিয়ে যাচ্ছি। অন্তত একটা ম্যাচ জিততে চাই।”
শুক্রবার ডেম্পোর বিরুদ্ধে যে দল খেলেছিল সেই দল থেকে বাদ পড়েছেন নির্মল ছেত্রী। তাঁর জায়গায় জর্ডন গেলেন উগা ওপারা। মোহনবাগানে পা বাড়িয়ে রাখা নির্মল ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি চলে গেলেন। নির্মলকে রাখার জন্য চেষ্টা না করলেও, টোলগে ওজবের আশা এখনও ছাড়েনি ইস্টবেঙ্গল। তাঁকে দু’বছরের জন্য থেকে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জর্ডনে দলের সঙ্গে গিয়েছেন ইউবি-র প্রতিনিধি অমিত সেন। তিনি সেখানে টোলগের সঙ্গে আর্থিক ব্যাপারে কথা বলে চুক্তি চূড়ান্ত করার চেষ্টা করবেন। মোহনবাগান তাঁবুর দিকে পা বাড়িয়ে দেওয়া টোলগের তাতে রাজি হওয়ার সম্ভবনা কম। কারণ ইস্টবেঙ্গল যে টাকা লাল-হলুদ স্ট্রাইকারকে দিতে চাইছে তার চেয়ে বেশি টাকা দিচ্ছে মোহনবাগান।
টোলগের মতোই দলের আর এক স্ট্রাইকার রবিন সিংহের সঙ্গে এখনও চুক্তি হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। তিনিও বড় অঙ্কের টাকা হেঁকেছেন। টোলগের মতোই সময় নিচ্ছেন রবিন। তবে টোলগের ব্যাপারে লাল-হলুদ কর্তাদের একাংশ আশা ছেড়ে দিলেও, রবিনের ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত। ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে দিতে চাইছে দু’বছরের চুক্তিতে থাকা বলজিৎ সিংহ, সুনীলকুমার(বড়)-এর মতো কয়েক জন নিয়মিত দলে না থাকা ফুটবলারকে। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, “যারা নিয়মিত দলে সুযোগ পাচ্ছে না অথচ দু’বছরের চুক্তি আছে, তারা অন্য কোথাও চলে যেতে চাইলে রিলিজ দিয়ে দেব। বলজিৎ, সুনীলকুমারদের সেটা বলা হয়েছে।” ইস্টবেঙ্গল ইতিমধ্যেই ছেড়ে দিয়েছে অভ্র মণ্ডল, বুধিরাম টুডুকে। অভ্র পুণেতে খেলবেন। বুধিরাম চাকরি নিয়ে রেল দলে খেলতে চান। ইস্টবেঙ্গল নিয়েছে অর্ণব মণ্ডল, সফর সরদারদের মতো কয়েক জনকে। আই লিগের দৌড় শেষ হয়ে যাওয়ার পর মোহনবাগানও দল প্রায় গুছিয়ে ফেলেছে। সুনীল ছেত্রী, সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়, এন প্রদীপ, সুরকুমার, অসীম বিশ্বাস, মুরলী, গৌরাঙ্গ দত্তদের বাদ যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। এ দিকে পুণে ম্যাচে না মোহনবাগান দিবসে কবে ব্যারেটোকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে মোহনবাগানে। |