আইএমএফে কোটা নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করল না ভারত |
ব্রিকস সদস্য হিসেবে আইএমএফে ভারতের কোটা বা অবদান বাড়ানো নিয়ে এখনই চূড়ান্ত ঘোষণা করতে চায় না ভারত। কারণ ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা)-এর অন্তর্ভুক্ত দেশ হিসেবে প্রথমে এ ক্ষেত্রে গোষ্ঠীর অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছতে চায় তারা। তার পর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বাকিদের সঙ্গেই সরব হতে চায় নিজেদের অবদান বাড়ানো নিয়ে। রবিবার এখানে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। বস্তুত, বিশ্ব অর্থনীতিতে কোন দেশের অবদান কতটা, সেই মাপকাঠিতেই নির্ধারিত হয় আইএমএফে ওই দেশটির কোটা কতখানি থাকবে। এবং ওই ভাগের ভিত্তিতে স্থির হয় অর্থভাণ্ডারে দেশটির সর্বাধিক আর্থিক দায়বদ্ধতা, ভোটদানের ক্ষমতা, এমনকী আর্থিক সহায়তা পাওয়ার অধিকারও। গুরুত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলির জোট ব্রিকসের সদস্য ভারত। কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে আগেই ওই ভাগ ২.৪৪% থেকে বাড়িয়ে ২.৭৫% করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে আইএমএফে ভারতের সংরক্ষিত তহবিল (স্পেশ্যাল ড্রয়িং রাইটস) ৫৮২.১৫ কোটি থেকে বেড়ে হবে ১৩১১.৪৪ কোটি। যাতে আইএমএফ-এ বৃহত্তম ১০টি কোটা-প্রাপ্ত গোষ্ঠীর মধ্যে চলে আসতে পারে ব্রিকস।
|
জাতীয় পানীয় হবে চা, আশ্বাস দিলেন মন্টেক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
চা-কে জাতীয় পানীয় ঘোষণা করার আশ্বাস দিলেন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুুওয়ালিয়া। শনিবার, অসম চা উৎপাদক সংগঠন (এটিপিএ)-এর প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। চা-কে জাতীয় পানীয় ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তা নিয়েই ওই দিন আশ্বাস দিয়ে গেলেন অহলুওয়ালিয়া। চিন, ইংল্যান্ড, মিশর, ইরান ও মরক্কোয় ইতিমধ্যেই জাতীয় পানীয়ের মর্যাদা পেয়েছে চা। অহলুওয়ালিয়া বলেন, “অসমের দাবি সঙ্গত। প্রথম দেশীয় চা উৎপাদক মণিরাম দেওয়ানকে সিপাই বিদ্রোহের সময় ব্রিটিশরা ফাঁসি দিয়েছিল। ব্রিটিশদের প্রতিযোগিতায় ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই লড়াই জিইয়ে রেখেছে অসমের চা। একে জাতীয় মর্যাদা দিতে যথাসাধ্য করব।” ১৮০৬ সালে, যোরহাটে জন্ম নেন মণিরাম। সে কালে কলকাতাবাসী , আদতে স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা রবার্ট ব্রুসকে তিনিই প্রথম সিংপো এলাকায় চা গাছের সন্ধান দিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই ১৮২৩ সালে অসমে চা চাষের পত্তন করেন ব্রুস। ১৮৪৫ সালে চিনামারায় মণিরাম নিজস্ব চা বাগান করেন। শুধু চা ব্যবসায়ী হিসাবে নন, মণিরাম দুটি বর্মী আক্রমণের পরে ব্রিটিশদের সঙ্গে স্থানীয় উপজাতিদের সন্ধি স্থাপনেও বড় ভূমিকা নেন। কিন্তু, পরে মণিরামকে ব্রিটিশ-বিরোধী তকমা দেওয়া হয়। ১৮৫৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মণিরাম ও তাঁর স্ত্রী পিয়ালি বরুয়াকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়। অহলুওয়ালিয়া বলেন, “মণিরামের লড়াইয়ের জন্যও চা জাতীয় পানীয় হওয়ার দাবি রাখে।” বিশ্বের প্রাচীনতম চা গবেষণা কেন্দ্র টোকলাইতে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, দেশের ৮৩% বাড়িতে এখনও চা-ই মূল পানীয়।
|
আমেরিকায় কর্মীদের তথ্যে ভুল, অভিযোগ ইনফোসিসের বিরুদ্ধে |
আমেরিকায় ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের কর্মীদের যোগ্যতা সংক্রান্ত নথিতে ভুল থাকতে পারে বলে অভিযোগ এনেছে মার্কিন নিরাপত্তা দফতর। সেই কারণে দফতর এখন ওই নথি (ফর্মস ১-৯) খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে ইনফোসিস। সংস্থার আশঙ্কা, আমেরিকায় কাজ করার যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ওই ফর্মে যদি সত্যি কোনও ভ্রান্তি ধরা পড়ে, তবে জরিমানা বা নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে তাদের উপর। |