|
|
|
|
পাক-আকাশে ফের আতঙ্ক |
জ্বালানির ট্যাঙ্কে ফুটো, চাকা ফাটল অবতরণে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না পাকিস্তানের বিমানযাত্রীদের!
শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে বিমান দুর্ঘটনায় ১২৭ জন প্রাণ হারানোর রেশ কাটতে না কাটতে রবিবার আরও দুটি বড়সড় বিমান দুর্ঘটনা এড়াল পাকিস্তান। এ বার ঘটনাস্থল লাহৌর এবং করাচি বিমানবন্দর। লাহৌরে একটি বিমান রানওয়ে ছাড়ার আগের মুহূর্তে সেটির জ্বালানির ট্যাঙ্কে ফুটো হয়ে যায়। আর করাচিতে একটি বিমান অবতরণের মুহূর্তে তার দুটি চাকাই ফেটে যায়। দুটি ক্ষেত্রেই যাত্রীরা অক্ষত থাকলেও পাকিস্তানের বিমান পরিষেবার মান এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই শুক্রবারের দুর্ঘটনার জন্য তদন্তকারীদের একাংশ যথেষ্ট পুরনো বিমান ব্যবহারকে দায়ী করেছেন। তার পর রবিবারের দুটি ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে বিমান রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার প্রথম বিপর্যয়টি ঘটে করাচির জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ১০০ জন যাত্রী নিয়ে বেসরকারি শাহিন এয়ার-এর একটি বিমান অবতরণের ঠিক আগে কারিগরি সমস্যায় পড়ে এবং অতিরিক্ত বায়ুচাপে বিমানের দুটি চাকাই ফেটে যায়। খবর পেয়েই জরুরি অবস্থা জারি করা হয় বিমানবন্দরে। শেষ পর্যন্ত অবতরণ সম্ভব হলেও রানওয়ের সঙ্গে চাকার লোহার অংশের ঘষা লেগে অল্প আগুনও ধরে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই আগুন নিভিয়ে নামিয়ে আনা হয় যাত্রী ও বিমানকর্মীদের। ঘটনার জেরে করাচি বিমানবন্দরের প্রধান রানওয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। বড় বিমানগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নিকটবর্তী নবাবশাহ বিমানবন্দরে।
ওই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই লাহৌরে আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় শাহিন এয়ারেরই আরও একটি বিমান। পাক সংবাদমাধ্যমকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০০ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি রানওয়ে ছাড়ার মুহূর্তে সেটির জ্বালানির ট্যাঙ্ক থেকে তেল পড়তে শুরু করে। পাইলট বাধ্য হয়ে ‘ইমার্জেন্সি ব্রেক’ কষে বিমান দাঁড় করিয়ে দেন। যাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে বিমান থেকে নামিয়ে বিমানবন্দরের প্রতীক্ষালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানেই বিমানযাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং সাফ জানিয়ে দেন, অন্য কোনও সংস্থার বিমানে তাঁদের গন্তব্যে পাঠানো হোক। পরে পাক অসামরিক বিমান পরিষেবা কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর জেনারেল নাদিম খান ইউসাফজাই জানান, দুটি ঘটনাতেই দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, দেশের বেসরকারি বিমানসংস্থাগুলির প্রতিটি বিমান খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আহমেদ মুখতার। |
|
|
|
|
|