|
|
|
|
স্বজনপোষণের নালিশ স্বীকার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
দরিদ্রদের শৌচাগার ও বাড়ি তৈরির প্রকল্পে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল কোচবিহারের হলদিবাড়ি পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর সীতাংশু মল্লিকের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন পুর চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ। প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলরের অভিযোগ, ‘ইন্টিগ্রেটেড লো কস্ট স্যানিটারি স্কিম’ এবং ‘হাউজিং ফর আরবান পুওর পিপল’ প্রকল্পে ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর আল্পনা মজুমদার নিজের ননদ ও জায়ের নাম উপভোক্তাদের তালিকায় রেখেছেন। আল্পনা দেবীর ননদ লিপিকা মৈত্রের স্বামী হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রাণেশ্বর মৈত্র। অন্যদিকে, জা কাবেরি মজুমদারের স্বামী বাপিবাবু পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠিকাদার। ওই দু’জনের নাম কী ভাবে উপভোক্তাদের তালিকায় রাখা হয় সেই প্রশ্ন তুলেছেন সীতাংশুবাবু। এ ছাড়া শহরের এক কাপড়ের ব্যবসায়ী এবং বিএলআরও দফতরের কর্মীর নামও তালিকায় রয়েচে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সীতাংশুবাবু বলেন, “স্বজনপোষণের এমন নির্লজ্জ নমুনা আর মিলবে কি না সন্দেহ। তা ছাড়া দু’জনের কেউই বিপিএল নন। অথচ দুটি প্রকল্পই বিপিএল তালিকাভুক্তদের জন্য। পুর চেয়ারম্যানকে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের প্রাণেশ্বরবাবু এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে আল্পনা দেবী তালিকায় আত্মীয়দের নাম রাখার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “ভূলবশত তালিকায় কয়েকটি নাম ঢুকে গিয়েছে। তালিকা সংশোধন করা হবে।” কাবেরি দেবীর বক্তব্য, পেশায় ঠিকাদার হলেও তাঁর স্বামীর স্থায়ী আয় নেই। যে শৌচাগার ব্যবহার করা হয় তা ব্যবহারের অযোগ্য। তিনি বলেন, “উপভোক্তা তালিকায় নাম থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি আমাদের সম্বন্ধে না জেনে অভিযোগ করেছেন।” লিপিকা দেবীর বক্তব্য, তাঁর স্বামী গ্রামে থাকেন। তিনি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। তিনি বলেন, “স্বামী পুরসভার কর্মচারী হলেও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ার পরে বেতন নেন না। সভাপতি হিসাবে বরাদ্দ মাসিক ২৮০০ টাকার সান্মানিক তাঁর ভরসা। শৌচাগার ভেঙে গিয়েছে। এ রকম অবস্থায় তালিকায় নাম থাকাই তো স্বাভাবিক।” |
|
|
|
|
|