|
|
|
|
৯ বছরেও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের বাড়ি তৈরি হয়নি |
বৃষ্টি হলেই বই বগলে দৌড়য় খুদেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
সামান্য ঝড়-জলে বই-খাতা বগলে বাড়ির পথে দৌড়য় খুদে পড়ুয়ারা। তার পরে কয়েকদিন তাদের স্কুলের ত্রিসীমানায় দেখা মেলে না। দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর কেটে গেলেও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের স্কুল বাড়ি তৈরি না হওয়ায় এভাবেই রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করতে হচ্ছে কচিকাঁচাদের। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাইলডাঙা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ঘটনা। বুধবার বিষয়টি সামনে আসতে প্রশাসনিক স্তরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্কুল চলো অভিযান, ভর্তিকরণ কর্মসূচি নিয়ে সর্বশিক্ষা মিশনের মাধ্যমে জেলা জুড়ে সারা বছর কর্মযজ্ঞ চালানো হলেও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটির পড়ুয়াদের মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় স্কুলমুখি হতে চাইছে না শিশুরা। ২০০৩ সালে মাইলডাঙা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি চালু হয়। জেলা পরিষদের তৎপরতার অভাবে এ যাবত কেন্দ্রটির স্কুলবাড়ি তৈরি হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক তপন সিংহ বলেন, “শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের বাড়ি তৈরির বিষয়টি জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি দেখে।” জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অমিত সরকার বলেন, “জেলায় ৫২৯ টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র আছে। যার মধ্যে কিছু কেন্দ্রের পাকা বাড়ি নেই। খুব শীঘ্রই কেন্দ্র পিছু ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।” এলাকার সন্ধ্যাপুকুর, নতুনপাড়া, উপর মাইলডাঙা ও মাইলডাঙার মতো চারটি গ্রামের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ৫০ জন শিশু ওই কেন্দ্রে পড়তে আসে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনার দেখাশুনার দায়িত্বে আছেন ২জন শিক্ষিকা। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকা আমিনা খাতুন বলেন, “প্রায় ৯ বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত পাকা স্কুল বাড়ি তৈরি হল না। বহুবার পঞ্চায়েতে দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। খোলা আকাশের নীচে বাচ্চাদের নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে।” এলাকার অভিভাবক আয়েসা বিবির অভিযোগ, চারটি গ্রামের শিশুদের একমাত্র কেন্দ্র এটি। আজ পর্যন্ত স্কুল ঘর হল না। রোদ, ঝড়, জলে শিশুরা সমস্যায় পড়ে। প্রশাসনের দেখা উচিত। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “এ রকম হওয়ার কথা নয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|