পক্ষপাতে অভিযোগ
ংগ্রেসের পরে এ বার তৃণমূলও মাটিগাড়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলল। বৃহস্পতিবার আঠারোখাই তৃণমূল অঞ্চল কমিটির পক্ষ থেকে মাটিগাড়া থানায় বিক্ষোভ হয়। অভিযোগ, ব্লকে সিপিএমের মদতে কংগ্রেস বেছে বেছে তাঁদের কর্মীদের উপরে হামলা করছে। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকারের নেতৃত্বেই হামলার ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁদের সমর্থকদেরই পুলিশ গ্রেফতার করছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না-হলে লাগাতার আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দুলর্ভ চক্রবর্তী বলেন, “কংগ্রেস বিধায়কের নেতৃত্বে এই এলাকায় গত কয়েক মাসে ২৫টি হামলা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা আক্রান্ত। সরকারি জমি দখল করছেন কংগ্রেস কর্মীরা। বাধা দিতে গেলে হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ওই কংগ্রেস বিধায়ক আমাদের মন্ত্রীর নামে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছেন। এসব মানা হবে না।” এ দিন শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে বসে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন তৃণমূলের মাটিগাড়া ব্লকের সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, মাটিগাড়া ব্লকের পাথরঘাটা, আঠারখাইয়ের জমি মাফিয়াদের নিয়ে দল করছে কংগ্রেস। তিনি বলেন, “আমরা দুটি বিষয়ে থানায় জানিয়েছি। ভূমি রাজস্ব দফতরে জানানো হয়েছে। ধারাবাহিক আন্দোলন করা হবে।” হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেসের ওই ব্লকের নেতা বাবলু সরকারের পাল্টা অভিযোগ, “তৃণমূলই এলাকার পাঁচকেলগুড়ি থেকে মাউরিয়া বস্তি-সহ নানা এলাকায় জমি দখলে নেমেছে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।” মাটিগাড়ার কংগ্রেস বিধায়ক দুর্লভবাবুর ওই অভিযোগের জবাব দেওয়া দূরে থাক, এমন কোনও তৃণমূল নেতার নামই কোনও দিন শোনেননি বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “যে তৃণমূল নেতার নামই কোনও দিন শুনিনি, তার অভিযোগের জবাব দেব না।” এর আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ছাত্র পরিষদের রোনাল্ড দে’কে পুলিশ গ্রেফতার করলে কংগ্রেসের তরফে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলা হয়। সামান্য হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ তৃণমূলের ভুয়ো অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদককে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ। এ দিন তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে যাত্রী বিশ্রামাগার দখল করে আইএনটিইউসি কার্যালয় খুলেছে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গত ৩১ মার্চ আঠারোখাইয়ের আলসিয়া মোড় এলাকায় কংগ্রেস কর্মীরা মিছিল করে দলের নেতা সূর্যমোহন সিংহের বাড়িতে ঢুকে খুনের হুমকি দেয়। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না-করার সুযোগ নিয়ে ৩ এপ্রিল ওই তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ ওই তৃমূল কর্মীকেই গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ। ১৪ মার্চ সতীশ রায় নামে এক তৃণমূল কর্মীর উপরে হামলা হয়। ওই তৃণমূল কর্মীকেই পরে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের মাটিগাড়ার অঞ্চল কমিটির সহ সভাপতি শচীন দাসের ভাই রমেশ দাসকে গত ৯ মার্চ সিপিএমের দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় আজও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। জোট শরিক কংগ্রেস কেন তাঁদের সমর্থকদের উপরে হামলা চালাবে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দুর্লভবাবু অভিযোগ করেন, “আসলে কংগ্রেসের জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন তৈরির জন্যই কংগ্রেসের তরফে হামলা করা হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.