সাংবাদিকদের বৈঠকে ধর্ষিতা
হিলকার্ট রোডের বহুতলে গণধর্ষণের ঘটনায় হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে সরব হল ধর্ষিতার পরিবার। বুধবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই দাবি করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, যে হোটেলের ৫ জন কর্মী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তার মালিককে ঘটনার অনেক আগে কর্মীদের আচরণ সম্পর্কে অভিযোগ জানানো হয়। হোটেলর মালিক বিষয়টিতে কর্ণপাত করেননি। শুধু তাই নয়, বহুতল এবং হোটেলের ছাদের মধ্যে দূরত্ব মাত্র তিন ফুট। সেখানে বেআইনি ভাবে একটি টিনের শেড তৈরি করেছেন হোটেল মালিক। যা দিয়ে অতি সহজেই বহুতলে যাতায়াত করা যায়। সেই সুযোগ নিয়েই হোটেলের পাঁচ কর্মী বহুতলে গিয়ে ওই তরুণীকে অপহরণ করে ছয় তলার ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও ওই ছাদ একই অবস্থায় রয়েছে। গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর মা বলেন, “আমরা নিরাপত্তায়হীনতায় ভুগছি। হোটেল থেকে এখনও খুব সহজেই বহুতলে যাতায়াত করা যায়। বষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মেয়রকে জানিয়েছি। সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে ওই শেড তৈরি করা হয়েছে। দুই ছাদের মধ্যে দূরত্বও সামান্য। আবার যে কোনও ঘটনা হবে না তার গ্যারান্টি কোথায়?” হোটেল মালিক গদাই ঘোষের দাবি, তার হোটেলের যে অংশ বেআইনি ছিল তা পুরসভা থেকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন যে অংশ রয়েছে তা আইনসম্মত। ধর্ষণে হোটেলের যে কর্মীরা অভিযুক্ত তাদের মধ্যে রাজু দাস নামে এক জনের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় ছিল। বাকি ৪ জন নির্দোষ। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। এতদিন কোনও অভিযোগ জানাননি। ওই বহুতল বেআইনি। সেখান থেকে জল পড়ে আমার হোটেলে। সে জন্য শেড দিয়েছি। আর হোটেল কর্মীদের অশোভন আচরণের কথা আমায় কোনও দিন জানানো হয়নি। পুলিশকেও তিনি জানাতে পারতেন। এখন মিথ্যে বলা হচ্ছে।” ২৯ মার্চ রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শিলিগুড়ি থানার সেবক মোড়ে এক হোটেলের ৫ কর্মী ছাদ টপকে একটি বহুতলে গিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে অপহরণ করে। তাঁকে ছয় তলার ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে। সেখানে ধর্ষিতা তরুণী অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছে। ওই ঘটনার পর হোটেলের বেআইনি অংশ নিয়ে অভিযোগ ওঠে। পুর কর্তৃপক্ষ ছাদের সামান্য অংশ ভাঙলেও যে শেড এক ভাবে রয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের ৬ নম্বর ওর্য়াডের সম্পাদক বাবলি কুন্ডু বলেন, “কাউন্সিলর হোটেলের মালিকের পক্ষ নিয়ে কাজ করছেন। কাউন্সিলর কংগ্রেসের হলেও ওই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।” ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমা নাথ বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। প্রথম দিন থেকে ওই পরিবারের পাশে রয়েছি আমি। ওই দিন রাতে পুলিশে খবর দেওয়া, অভিযুক্তদের গ্রেফতার হওয়া পর্যন্ত ই ছিলাম। রাজনীতিগত কারণে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। এর পরেও বলছি, বেআইনি কিছু থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “অবিলম্বে ওই হোটেলের বেআইনি অংশ ভেঙে দেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.