ফুটওভার ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েও আটকে রয়েছে। এর ফলে ওন্দাগ্রাম রেলস্টেশনে ঝুঁকি নিয়েই যাত্রীদের রেললাইন পারাপার করতে হচ্ছে। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, পুরনো ফুটওভার ব্রিজটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বহু আবেদনে নতুন ওভার ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। মাঝ পথে তাও বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে তাঁদের ঝুঁকির পারাপার বন্ধ হয়নি। আদ্রার ডিআরএম অমিতকুমার হালদারের আশ্বাস, “ওন্দাগ্রাম স্টেশনে ফুটওভার ব্রিজ তৈরি নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। তবে আগামী দুর্গাপুজোর আগে ফুটওভার ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ করা হবে।”
রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওন্দা রেল স্টেশনের এক দিকে একটি ফুটওভার ব্রিজ ছিল। কিন্তু সেটি ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়ায় ওন্দার বাসিন্দারা নতুন করে ওই ব্রিজ তৈরির দাবি তোলেন। কয়েক বছর আগে রেলমন্ত্রক তা মঞ্জুর করে। কাজও শুরু হয়। কিন্তু সেই কাজ অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে। এতেই বাসিন্দাদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, রেল লাইন পারাপার খুবই ঝুঁকির। লাইন পেরিয়ে উঁচু প্লাটফর্মে উঠতে কষ্ট হয়। তবে মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের এ নিয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। |
তাঁদের আশঙ্কা, পারাপারের সময় স্টেশনে ট্রেন চলে এলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। কাজ কেন বন্ধ? রেলের এক আধিকারিক জানান, এই প্রকল্পের খাতে যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, বাস্তবে খরচ তার তুলনায় অনেক বেশি। টাকা ঠিকমত না পাওয়ায় কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ওন্দাগ্রাম স্টেশনে বেশ কিছু ট্রেন থামে না। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনে গড়ে ৩৫টি করে ট্রেন এই স্টেশনের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া কিছু মালগাড়িও যায়। ফলে এই লাইন পারাপার করা যথেষ্ট ঝুঁকির। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে এক দিক থেকে অন্য দিকে পার হওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের রেললাইন পার হতে হয়। স্কুল ছাত্রছাত্রীরাও যাতায়াতের সময় রেল লাইন পারাপার করে। অভিভাবকদের আশঙ্কা, স্কুলের সময়ে ওন্দাগ্রাম স্টেশন দিয়ে পাঁচটি লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত করায় যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ওন্দার বাসিন্দা স্বপন চক্রবর্তী, শিবশঙ্কর সরকাররা বলেন, “ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় চরম আমরা চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছি। এই ব্রিজ থাকলে রেললাইনের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় না।” |