মুখ বন্ধ খামে বন্দি নতুন পুরপ্রধান!
আজ, শুক্রবার লালবাগ পুরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিল-এর বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই নতুন পুরপ্রধান ঠিক হবে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ইতিমধ্যেই নতুন প্রধান ঠিক করেছেন। তিনি কে? তা অবশ্য জানে না পুর কাউন্সিলরেরা। এ দিন বহরমপুরের পুর প্রধান নীলরতন আঢ্য বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে ওই নাম ঘোষমা করবেন বলে জানা গিয়েছে। ৩০ মার্চ কংগ্রেসের সৌমেন দাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন কংগ্রেসেরই তিন জন-সহ মোট ৮ জন কাউন্সিলর। তার মধ্যে নির্দল প্রতীকে জয়ী ৪ জন এবং এক জন তৃণমূল কাউন্সিলরও ছিলেন। পরে গত ৪ এপ্রিল বহরমপুরে এসে জেলা কংগ্রেস সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন সৌমেন। গত ৭ এপ্রিল বোর্ড অফ কাউন্সিল-এর বৈঠকে ৮ জনের উপস্থিতিতে পুরপ্রধানের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়। ওই বৈঠকে কংগ্রেসের সাত জন কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন। এ দিকে পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে নতুন পুরপ্রধান মনোনয়নকে ঘিরে কাউন্সিলরদের মধ্যে আড়াআড়ি ভাবে দুটি গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে গিয়েছে। এক পক্ষে ৮ জন, অন্য পক্ষে সাত জন কাউন্সিলর রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় দুটি গোষ্ঠীর মতভেদ মেটাতে ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে গত ৮ এপ্রিল জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে বৈঠক করেন অধীর। পরে দু-পক্ষই পুরপ্রধান মনোনয়নের দায়িত্ব জেলা কংগ্রেস সভাপতির উপরেই ছেড়ে দেয়। অধীর বলেন, “উন্নয়নের দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ওই পুরসভা। অবিলম্বে পুর-উন্নয়নের উপরে জোর দিতে হবে। পুর-প্রশাসনিক কাজেও গতি আনতে হবে। সে জন্যই পুরসভার হাল ধরতে এমন এক জনকে বেছে নেওয়া হবে যে ওই কাজে পারদর্শী। তবে কাকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হবে সে ব্যাপারে এখনই মুখ খুলছি না।” লালবাগ পুরসভার ১৬টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১০টি, নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিশ্বজিৎ ধর ও তাঁর অনুগামীরা ৪টি আসনে, তৃণমূল ও জনবাদী ফরওয়ার্ড ব্লক একটি করে আসনে জয়ী হয়। পরে জনবাদী ফরওয়ার্ড ব্লকের কাউন্সিলর তৃপ্তি সিংহ মারা যাওয়ার পরে ওই আসনটি ফাঁকা রয়েছে। |