ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়ার নামে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের স্থানীয় কর্তাকেকে গ্রেফতার করেছে।
বহরমপুর থানার পুলিশের সহায়তায় ফরাক্কা থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙ্কের বহরমপুর অফিস থেকেই ওই ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার তদন্ত করছিল পুলিশ। এদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
ব্যাঙ্কের ফরাক্কা ব্যারেজ শাখার শাখা প্রবন্ধক থাকাকালীন ওই ম্যানেজার ২০১১ সালের মার্চে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ মঞ্জুর করেন। কিন্তু সেই টাকা তাঁরা হাতে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ওই দুই সংস্থার মালিক মহম্মদ ইউসুফ আলি ও মহম্মদ ফেরদৌস আলি। তাঁরা জঙ্গিপুর আদালতের দারস্থ হন। বিচারক ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বরে অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও স্থানীয় আরও দুজনের নামে দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ জারি করেন। ওই নির্দেশ পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪০৬, ১২০বি ধারায় ফরাক্কা থানার পুলিশ এফআইআর করে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন দুপুরে ওই ব্যাঙ্ক কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলায় অন্য দুজন অভিযুক্ত মহম্মদ হোসেন ও সিরিনা খাতুন এখনও পলাতক।
ওই ব্যাঙ্ক কর্তার গ্রেফতার প্রসঙ্গে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি ব্যাঙ্কটির আঞ্চলিক অধিকর্তা-সহ কেউই। পুলিশ জানায়, ফেরদৌস আলির প্লাস্টিকের একটি কারখানা রয়েছে। ইউসুফ আলি শাড়ির ব্যবসা করেন। ফেরদৌস আলির নামে ২২ লক্ষ ৪১ হাজার ৪০০ টাকা এবং ইউসুফ আলির নামে ওই ব্যাঙ্ক থেকে ১১ লক্ষ ৫৮ হাজার ২০০ টাকার ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছিল |