গেঁওখালিতে পরিবেশ মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পর্যটনকেন্দ্র গড়ে ওঠার কথা গেঁওখালিতে। সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার এখানে ঘুরে গেলেন রাজ্যের পূর্ত ও পরিবেশমন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। মহিষাদল থেকে গেঁওখালি যাওয়ার রাস্তা-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেন মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পর্যটন দফতরের ডিরেক্টর পৃথা সরকার, পূর্তসচিব অজিত বর্ধন, চিফ ইঞ্জিনিয়র নির্মল সরকার প্রমুখ। |
|
মহিষাদলে জীর্ণ সেতু পরিদর্শনে সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার |
এ দিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মহিষাদলের হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের বেহাল সেতুতে পৌঁছন মন্ত্রী। ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু সংস্কারের যে পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন তিনি। এলাকায় একটি মুক্তমঞ্চ ও মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন। তারপর মন্ত্রী যান গেঁওখালিতে। গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন মন্ত্রী ও ডিরেক্টর (পর্যটন)। মন্ত্রী বলেন, “পর্যটনকেন্দ্রের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। এ ক্ষেত্রে যে সব পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন, তার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রথমেই আমাদের যাতায়াতের রাস্তা গড়তে হবে।” পৃথাদেবীর বক্তব্য, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছি। সব পরিকল্পনা ওঁকে জানাব। আমাদের ইচ্ছে এখানে ওয়াটার স্পোর্টস থেকে শুরু করে প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা করার।” স্থানীয় নাটশাল রামকৃষ্ণ আশ্রম-সহ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি ঘুরে দেখেন তাঁরা। গেঁওখালি থেকে হলদিয়ার কুকড়াহাটিতে যান মন্ত্রী। এই কুকড়াহাটিতেই কলকাতা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে স্বল্প যাত্রাপথে শিল্পনগরী হলদিয়ায় আসার জন্য সেতু গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল বাম সরকার। কিন্তু নানা জটিলতায় তা স্থগিত হয়ে যায়। এ দিন এলাকা পরিদর্শন করে সুদর্শনবাবু সেই পরিকল্পনা রূপায়ণে ফের জোর দেন। নতুন করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে গেলে খরচ হবে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। সুদর্শনবাবু বলেন, “এখন এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে হলে দ্বিগুণ খরচ তো হবেই। তবে এই সেতু হলে শিল্প-সহ পর্যটনের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।” |
|