জখম দু’দলের ১০ |
কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষ নয়াগ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর |
একটি পুকুরের দখল নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াগ্রাম থানার বালিগেড়িয়ার আমলাডাংরিতে তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএম ও কংগ্রেস যৌথ ভাবে হামলা চালিয়েছে। তিরবিদ্ধ হয়ে জখম ৫ তৃণমূল সমর্থককে বিকেলে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। পরে কাদন হাঁসদা নামে এক জনকে কলকাতায় পাঠানো হয়। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায়-সহ অন্য নেতারা মেডিক্যালে আহতদের দেখতে যান। অন্য দিকে, সিপিএমের সঙ্গে তাদের যোগসূত্রের অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, তৃণমলের হামলায় দুই মহিলা-সহ তাদের ৪ সমর্থক জখম হয়েছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তৃণমূলের অবরোধ চলায় রাত সাড়ে ৮টার আগে ওই ৪ জনকে মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে। |
|
নয়াগ্রামে আহত কাদন হাঁসদা মারা যান রাত্রে। |
আগে আমলাডাংরির সরকারি পুকুরে সিপিএম সমর্থকরাই মাছ চাষ করতেন। এখন তৃণমূল সমর্থকরা পুকুরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছেন। সিপিএম সমর্থকদের কেউ কেউ আবার শিবির বদলে এখন কংগ্রেসে। এ দিন তৃণমূল সমর্থকেরা মাছ ধরতে নামলে ছুটে আসেন সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকরা। শুরু হয় সংঘর্ষ। তৃণমূলের নয়াগ্রাম ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত-র অভিযোগ, “সিপিএমের লোকজন এত দিন অবৈধ ভাবে পঞ্চায়েত সমিতির পুকুরটি ভোগদখল করছিলেন। সর্বজনীন ব্যবহারে গ্রামবাসীরা উদ্যোগ হয়ে এ দিন পুকুর পরিষ্কার করতে গেলে ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অসিত দাসের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।” অভিযোগ অস্বীকার করে ঝাড়গ্রাম মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি প্রসূণ ষড়ঙ্গী বলেন, “তৃণমূলের লোকেরাই পুকুরের মাছ লুঠ করতে যান। মানুষ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে।” সিপিএমের নয়াগ্রাম জোনাল সম্পাদক হিমাংশু ত্রিপাঠীর বক্তব্য, “পুরোটাই শাসক-জোটের বিবাদ।” |
|