|
|
|
|
সংখ্যালঘু উন্নয়নে বরাদ্দের সিদ্ধান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর-শহর তমলুকের কাছে নিমতৌড়িতে ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংখ্যালঘু উন্নয়ন-ভবন ও পাঁশকুড়ায় ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের জন্য হস্টেল গড়ার পরিকল্পনা করেছে জেলার সংখ্যালঘু উন্নয়ন-বিষয়ক কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকির উপস্থিতিতে গত ৫ এপ্রিল কমিটির প্রথম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্টিগ্রেটেড মাইনোরিটি ডেভলপমেন্ট প্রকল্পে এই জেলার জন্য বরাদ্দ প্রায় ৫ কোটি টাকা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে খরচ করার জন্য কমিটির প্রথম বৈঠকে রূপরেখা তৈরি হয়েছে।
জেলায় বছর তিনেক আগেই এই কমিটি গঠিত হলেও গত ৫ এপ্রিলই প্রথম বৈঠক হল। কমিটির সদস্য হিসেবে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শেখ সুফিয়ান, জেলা সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক আধিকারিক শুভাশিস মৈত্র-সহ বিভিন্ন আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নন্দীগ্রাম-১, সুতাহাটা, পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট--এই চারটি ব্লকের মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২২টি নতুন শ্রেণিকক্ষ এবং ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০টি নতুন শিশু শিক্ষাকেন্দ্র গড়ারও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। এ ছাড়াও ১২টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্যও ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা, পানীয় জলের জন্য ৪৩ লক্ষ টাকা, সেচের জন্য ৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। নন্দীগ্রাম-১,পাঁশকুড়া ও পটাশপুর-২ ব্লকে তিনটি কবরস্থান নির্মাণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য ১ লক্ষ টাকা করে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
সহ-সভাধিপতি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত, যে সব ব্লকে ২০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু মানুষ বসবাস করেন, সেই সব ব্লকে এই প্রকল্পের টাকা খরচ করতে হবে। পূর্ব মেদিনীপুরে ২৫টি ব্লকের মধ্যে পাঁশকুড়া, নন্দীগ্রাম-১, কোলাঘাট ও সুতাহাটা--এই চারটি ব্লকে ২০ শতাংশের বেশি সংখালঘু মানুষের বাস। কিন্তু এ ছাড়াও জেলার ২৫টি ব্লকের মধ্যে মহিষাদল ব্লকে ১৮.৪১ শতাংশ, তমলুক ব্লকে ১৬.১৭ শতাশ, হলদিয়া ব্লকে ১৪.৮২ শতাংশ, কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকে ১৪.৭৪ শতাংশ, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ১৩.৯৬ শতাংশ, এগরা-১ ব্লকে ১২.৯৩ শতাংশ, রামনগর-১ ব্লকে ১১.৮৭ শতাংশ, নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে ১০.৬৪ শতাংশ, পটাশপুর-২ ব্লকে ১০.৬৩ শতাংশ, চণ্ডীপুর ব্লকে ১২.০২ শতাংশ, নন্দকুমার ব্লকে ১১.০৭ শতাংশ সংখ্যালঘু মানুষ বসবাস করেন। এ ছাড়াও জেলার ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু মানুষের বাস। |
|
|
|
|
|