শেন ওয়ার্নের পরে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিমান লেগস্পিনার বলা শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়াতেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চৌকাঠে সবে পা রেখেছেন বাইশ বছরের যুবক। এখনও সে ভাবে বিশ্ব ক্রিকেটের মাইক্রোস্কোপের তলায় পড়েননি। লেগস্পিনের সঙ্গে পারেন মারকাটারি ব্যাটিং করতে। জহুরির মতোই তাঁকে পুণে ওয়ারিয়র্স টিমে তুলে এনেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রথম দুটো ম্যাচেই সুপারহিট স্টিভ স্মিথ। মিডল অর্ডারে সৌরভের অন্যতম ভরসা। বুধবার মোহালিতে প্র্যাক্টিসের পরে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং নতুন অধিনায়ক নিয়ে আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বললেন স্টিভ স্মিথ।
প্র: ক্যাপ্টেন সৌরভকে কেমন লাগছে?
স্টিভ: সৌরভ দুর্দান্ত নেতা। দলে প্রচুর অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। নেটে ওকে বল করা ভীষণ উপভোগ করি। ভারতের পিচে কী ভাবে বল করব তা নিয়ে অনেক পরামর্শ দিয়েছে। আশা করব বাকি টুর্নামেন্টে সৌরভকে আরও ভাল ভাবে জানতে পারব। ওর সঙ্গে আরও বেশি মিশতে পারব।
প্র: অস্ট্রেলীয় বিগ ব্যাশে আপনার নেতৃত্বে ট্রফি জিতেছে সিডনি সিক্সার্স। অধিনায়ক সৌরভের কাছ থেকে কী শিখতে চাইবেন?
স্টিভ: ও যে ভাবে দলের মধ্যে একতা এনেছে সেটা শিখতে চাইব। সবাই ওর উপর প্রচণ্ড নির্ভর করে থাকে। ও কিছু বললে সেটাকে গুরুত্ব দেয়। নিজের এবং দলের চার পাশে একটা বলয় তৈরি করেছে সৌরভ। ওকে কেন্দ্র করেই টিমটা এককাট্টা হয়ে এগোচ্ছে।
প্র: আপনাকে বলা হচ্ছে শেন ওয়ার্নের পরে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিমান। কেরিয়ারের শুরুতেই প্রত্যাশার চাপ সামলাতে পারছেন?
স্টিভ: আমার সঙ্গে ওয়ার্নের তুলনা করা যায় নাকি? শেন ওয়ার্ন মাত্র এক জনই। ওয়ার্নের মতো না হয়ে স্টিভ স্মিথ হিসেবে নিজের সেরাটা দিতে চাই। প্রত্যাশা নিয়ে আমি ভাবি না।
প্র: পুণে টিমের স্পিরিট এখনই খুব প্রশংসিত। দলের সদস্য হিসেবে ব্যাপারটাকে কী ভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
স্টিভ: আসলে সৌরভ ছাড়া আমাদের দলে বড় তারকা কেউ নেই। তাই আমরা জানি আমাদের জিততে গেলে দল হিসেবে পারফর্ম করতে হবে। একে অন্যের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি। দলের প্রত্যেকের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব ভাল। মাঠে তাই আমরা একটা ইউনিট হিসেবে নামতে পারি।
প্র: পুণের কার কার সঙ্গে বেশি বন্ধুত্ব হয়েছে?
স্টিভ: লিউক রাইট এখনই খুব ভাল বন্ধু। তা ছাড়া পার্নেল, রাইডাররা আছে। ভারতীয়দের মধ্যে রাহুল শর্মার সঙ্গে আলাপ হয়েছে। টুর্নামেন্ট আরও এগোলে বাকিদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হয়ে যাবে।
প্র: ভারতীয় দর্শকদের সামনে খেলতে কেমন লাগছে?
স্টিভ: অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। সুব্রত রায় স্টেডিয়ামে আমাদের আগের ম্যাচটায় যা পরিবেশ ছিল, ভাবা যায় না। ভারতীয়রা সত্যিই তাদের ক্রিকেটারদের প্রচণ্ড ভালবাসে। এখানে খেলাটা ভীষণ উপভোগ করছি। |