|
|
|
|
স্কুলভোট ঘিরে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দল চলছেই। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই লড়াই বন্ধ করার জন্য জেলা, এমনকী রাজ্য নেতৃত্বও একাধিক বার আলোচনায় বসেছিলেন। তাতেও উপদলীয় কোন্দল বন্ধ হয়নি। গত মঙ্গলবার বিকেলে চন্দ্রকোনার বওড়ায় দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব-সভাপতির উপস্থিতিতেই গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী। আবার স্কুল নিবার্চনেও দলেরই দুই গোষ্ঠী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ দলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকেরা।
এলাকায় একের পর এক স্কুল-নির্বাচনে সিপিএম প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও লড়াই হচ্ছে তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। ক্ষীরপাই বালিকা বিদ্যালয়ের পর জাড়া, তাতারপুর হাইস্কুল-সহ একাধিক স্কুলে দুই গোষ্ঠীর লড়াই হয়েছিল। তখন জেলা-নেতৃত্ব ‘কড়া’ ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিলেও অবস্থা বদলায়নি। আগামী ২২ এপ্রিল ক্ষীরপাই হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ফের মুখোমুখি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবারই ছিল এই স্কুলের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকজনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায়ের অবশ্য বক্তব্য, “যাতে আলোচনার মাধ্যমে এক পক্ষ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এ দিকে, মঙ্গলবার জেলা যুব-তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরীর উপস্থিতিতে দলের দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোলের ঘটনায় দলেরই দুই অঞ্চল সভাপতি-সহ (জাড়া ও মানিককুণ্ডু অঞ্চলের সভাপতি জহিরুদ্দিন মিদ্যা ও মুজিবর রহমান) মোট ১৬ জনের নামে মামলা করেছে এক গোষ্ঠী। ঘটনাটিকে দেবাশিসবাবু প্রথমে সিপিএমের দুষ্কৃতীদের হামলা বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু এই মামলার ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল, যা ঘটেছে তা দলেরই কোন্দলের পরিণতি। আবার মামলার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় জাড়া, বওড়ায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
|
|
|
|
|
|