মহিলা পুলিশকে মার, ধৃত দু’জনকে ‘মারধর’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
মহিলা কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগে ধৃত দুই মহিলাকে বুধবার রাতে ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। টুম্পা মাল ও সীমা মাল নামে ওই দুই মহিলার দাবি, তাঁদের লকআপে এক এসআই প্রচণ্ড মারধর করেছেন। কদর্য ভাষায় অপমান করা হয়েছে। লকআপে কোনও মহিলা পুলিশ ছিল না বলেও তাঁদের অভিযোগ। যদিও পুলিশ-প্রশাসনের কাছে এখনও এই মর্মে লিখিত নালিশ দায়ের হয়নি। বৃহস্পতিবার দু’জনকে আদালতেও তোলা হয়নি। ওই ঘটনায় ধৃত বাকি ৬ জনকে এ দিন আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আরামবাগের এসডিপিও আকাশ মাগারিয়া অবশ্য বলেন, “মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। ওঁরা অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।” হাসপাতালের সুপার নির্মাল্য রায় বলেন, “রিপোর্ট পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”
আরামবাগ থানার ওই মহিলা কনস্টেবল অনু মালের বাড়ির উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার গিয়েছে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে। যা নিয়ে দু’পক্ষের গোলমালের সূত্রপাত। অনুদেবী দিন কয়েক আগে ১১ জনের নামে গোলমালের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন থানায়। সকলেই আগাম জামিন নেন। পরে ফের প্রতিবেশীদের একাংশ অনুদেবীর বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। ফের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা কনস্টেবল। এ বার পুলিশ গ্রেফতার করে এক জনকে। তারই প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় থানা ঘেরাও করেন কিছু মানুষ। অভিযোগ, সে সময়ে থানা চত্বরেই মারধর করা হয় অনুকে। পুলিশ বেধড়ক লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। গ্রেফতার করা হয় অনুর খুড়তুতো দিদি টুম্পা, কাকিমা সীমা-সহ ৮ জনকে। পুরো ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |