বিদ্যুতের খুঁটির সুরক্ষা নিয়ে প্রচারের নির্দেশ প্রশাসনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
ঝড় হলেই আরামবাগ মহকুমায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট একেবারে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে বা হেলে গিয়ে এবং তার ছিঁড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা তো বিদ্যুৎহীন হয়ই, প্রাণহানির নজিরও কম নয়। এই পরিস্থিতি এড়াতে এ বার বিদ্যুতের খুঁটির সুরক্ষা নিয়ে ব্লক প্রশাসনগুলিকে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হল মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আরামবাগ ডিভিশনের ম্যানেজার চন্দন মণ্ডলের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী বিডিওদের জানিয়ে দেন, জনস্বার্থে প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটির সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রচার এবং সচেতনতা শিবির করতে হবে।
মহকুমাশাসক বলেন, “বিদ্যুৎ সংক্রান্ত নিরাপত্তা বিধি নিয়ে ব্লক, পঞ্চায়েত এবং গ্রামস্তরে প্রচারের আয়োজন চলছে। খুঁটি সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা জানা জরুরি।”
মহকুমা প্রশাসন এবং বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের খুঁটিগুলিকে ধরে রাখার জন্য মাটিতে তেরচা ভাবে যে ‘স্টে অয়্যার’ দেওয়া হয়, চাষ বা বীজ রোপণের অসুবিধা হলেই তা অনেক ক্ষেত্রেই কেটে দেওয়া হয়। ঝড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের এটাই মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। গত রবিবারই কালবৈশাখীর দাপটে মহকুমার ১২৫টি বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে বা উপড়ে যায়। কোথাও কোথাও তারও ছিঁড়ে যায়।
সোমবার বিকেলে একই কারণে লুটিয়ে থাকা বিদ্যুতের তারে ছোঁয়া লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গোঘাটের কামচে গ্রামের দুই মহিলার। বণ্টন সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায়।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ডিভিশনাল ম্যানেজার জানিয়েছেন, ওই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। দফতরের কর্মীদের গাফিলতি প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “তদন্তে দেখা গিয়েছে, কামচে গ্রামের ওই মাঠের স্টে-অয়্যার অনেক জায়গাতেই কাটা ছিল। সেই কারণেই খুঁটি হেলে পড়ে।”
বিদ্যুতের লাইন ও খুঁটির পরিস্থিতি দেখার কথা বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থারই। তবে সংস্থার আরামবাগ ডিভিশনের প্রশাসনিক ম্যানেজার রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই ডিভিশনে ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি বিদ্যুতের লাইন নিয়মিত টহলদারির মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই। সে কারণেই সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনগুলির দ্বারস্থ হচ্ছি আমরা।” |