নীলপুজোয় জমজমাট কুশবেড়িয়া, তারকেশ্বর |
নীলপুজো উপলক্ষে এ বারও জমজমাট হাওড়ার আমতা-কুশবেড়িয়ার বাণেশ্বর শিবমন্দির এবং হুগলির তারকেশ্বর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সাজানো বাঁকে জলভর্তি কলসি নিয়ে এসে বাণেশ্বর শিবমন্দিরে শিবলিঙ্গে জল ঢালেন পুণ্যার্থীরা। প্রায় ৩০ ফুট উঁচু থেকে ‘সন্ন্যাসী’দের বঁটিতে ঝাঁপ, কোমরে জ্বলন্ত লোহার বান ফোটানো দেখতে বহু মানুষ আসেন। প্রতি বছর এই বিশেষ দিনটিতে সারারাত ধরে চলে শিব-পার্বতীর পুজো। এ বারও মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা বসেছে। ৯ দিনের মেলায় যাত্রা, পুতুল নাচ-সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। মন্দিরের সেবায়েত ফটিকচন্দ্র অধিকারী বলেন, “প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর আগে জয়দেব সামন্ত নামে এক ভক্ত শিবলিঙ্গটি কাশী থেকে হেঁটে কুশবেড়িয়া গ্রামে এনে প্রতিষ্ঠা করেন। পরে, বাংলার ১১৭৮ সালে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। ভক্তদের সহযোগিতায় পরে নাটমন্দির তৈরি করা হয়।” নীলপুজো উপলক্ষে এক মাস ধরে গাজনমেলা চলছে তারকেশ্বরে। বৃহস্পতিবার মেলায় বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা তো বটেই, বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ এই উপলক্ষে তারকেশ্বরে ভিড় জমান। এ দিন মঠাধীশ সুরেশ্বর আশ্রমকে নিয়ে ভক্তেরা শোভাযাত্রা বের করেন।
|
দুষ্কৃতী গুলিবিদ্ধ চন্দননগরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর |
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক দুষ্কৃতীকে উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে চন্দননগরের গোন্দলপাড়ায় একটি মাঠের পাশে চন্দন তাঁতি নামে ওই দুষ্কৃতীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানায়, চন্দনের পিঠে একটি গুলি করেছিল দুষ্কৃতীরা। তার ঘাড়, হাত-পা এবং মুখে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন ছিল। পুলিশ প্রথমে আহতকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে সেখান থেকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ জানায়, চন্দনের বাড়ি তেলেনিপাড়া ফেড়িঘাটের কাছে। সে ভিক্টোরিয়া জুটমিলে ঠিকাকর্মীর কাজ করত। অপরাধমূলক নানা কাজের সঙ্গেও সে যুক্ত ছিল। পুলিশের খাতায় তার নামে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরাই চন্দনকে আক্রমণ করেছে। |