বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষেরই তিন ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে। দরপত্রে কারচুপি করে বিশেষ সংস্থাকে কাজ পাইয়ে দিয়েই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন এক বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারও। তাঁর বারাসতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।
তদন্তে নেমে বুধ ও বৃহস্পতিবার দিল্লি, আগরা, হায়দরাবাদ, গাজিয়াবাদের সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দেন সিবিআই অফিসারেরা। অভিযুক্ত বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার অলোকেশ বিশ্বাসের বারাসতের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। অলোকেশবাবু এক সময় কলকাতা বিমানবন্দরেও কাজ করেছেন। অভিযুক্ত অন্য দুই ইঞ্জিনিয়ার পবন জৈন ও অনুপম বর্মার কাছ থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ অগ্রবাল এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, “বুধবার সিবিআই অফিসারেরা দিল্লির অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছেন।” অলোকেশবাবু এখন দিল্লিতে ডিজিএম-পদে কর্মরত।
তিন-চার বছর আগে লখনউ বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের জন্য নতুন ট্যাক্সি-বে এবং নতুন টার্মিনাল ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই সময় এই অলোকেশবাবু ও পবন জৈন লখনউয়ে কর্মরত ছিলেন। আর অনুপম ছিলেন দিল্লিতে। অভিযোগ, দরপত্রে সিমেন্টের দাম বাড়িয়ে দেখিয়ে বেআইনি ভাবে দিল্লির এক বাঙালি সংস্থাকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেন ওই তিন ইঞ্জিনিয়ার-অফিসার। এর জেরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক কোটিরও বেশি টাকা লোকসান হয়। সেই বাঙালি সংস্থার মালিক সুমিত ঘোষের নামেও মামলা শুরু করেছে সিবিআই। বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, “লখনউয়ের নতুন টার্মিনালের কাজ শেষ। তদন্তে সিবিআই-কে সাহায্য করা হবে।” |