টুকরো খবর
বিবাহ নথিভুক্তিতে ধর্মপরিচয় নিষ্প্রয়োজন
বিবাহ নথিভুক্ত করার সময়ে আর ধর্ম পরিচয় দেওয়ার দরকার হবে না। জন্ম-মৃত্যু বিল (১৯৬৯) ও শিখ সম্প্রদায়ের ‘আনন্দ ম্যারেজ অ্যাক্ট (১৯০৯)’-এ আজ এই সংশোধনী অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। আইন মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৪ এপ্রিলের পর, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে এই মর্মে একটি নতুন বিলও আনা হবে। আইন মন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন, এই সংশোধনীর ফলে দু’টি ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বিয়ে নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে গেল। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা অনেক দিন ধরেই দাবি করছিলেন, তাঁদের বিবাহ নথিভুক্ত করার জন্য আলাদা বিল আনা হোক। কারণ এখন তাঁদের বিবাহ নথিভুক্ত করতে হয় হিন্দু বিবাহ আইনের আওতায়, যেখানে ধর্ম হিসেবে ‘হিন্দু’ উল্লেখ করতে হয়। ‘আনন্দ ম্যারেজ অ্যাক্ট’-এর এই সংশোধনী আনার ফলে এ বার থেকে শিখদের আর বিবাহ নথিভুক্ত করার সময়ে ‘ভুল’ ধর্ম লিখতে হবে না। শুধু শিখ নয়, আইন মন্ত্রকের কর্তাদের দাবি, এই সংশোধনী যে কোনও সংখ্যালঘু মানুষেরই বিবাহ নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হবে। ভিন্ন ধর্মে বিয়ে হলে বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোশ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়েই মহিলাদের হেনস্থার শিকার হতে হয়। এই সংশোধনী সেই সব মহিলাকে হেনস্থার হাত থেকে রেহাই দেবে বলে আইন বিশেষজ্ঞদের অনুমান।

আগরতলায় নজর বাড়াতে সিসিটিভি
পুজো ছাড়াও অন্য সময়ে শহরটাকে ২৪ ঘণ্টা যাতে নজরে রাখা যায়, তার ব্যবস্থা করছে ত্রিপুরা পুলিশ। সে কারণে আগরতলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক জনসভা, মিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা ইত্যাদি কারণে যখন বেশি জনসমাগম হয়, সে সময়ে আগরতলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যেই নীতিগত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিআইজি নেপালচন্দ্র দাস বলেন, লোকবসতি যেখানে বেশি, বাজার-হাট রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক সভা ছাড়াও অন্যান্য অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে এই ক্যামেরার মাধ্যমে নজর রাখা হবে। ২০১৩ সালের গোড়ার দিকে এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগেই ক্যামেরা বসানোর জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে পুলিশ প্রশাসনে। রাজ্য পুলিশকর্মী, টিএসআর বাহিনীর জওয়ান ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ২০১১ সালে জুলাইয়ে শহরে যে ‘অশান্তি’ হয়েছিল, তার ‘পুনরাবৃত্তি’ যাতে না হয় তার লক্ষ্যে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার প্রাসঙ্গিকতা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আরও বেড়ে গিয়েছে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের অনুমতি পেলেই ক্যামেরাগুলি উপযুক্ত স্থানে বসানোর ব্যবস্থা করবে পুলিশ। ইতিমধ্যেই শহরের কয়েকটি স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রাজ্য পুলিশ একদফা মহড়াও দিয়েছে। সিসি ক্যামেরা বসানো হলে আগরতলা শহরে ‘অপরাধ নিয়ন্ত্রণ’-ও অনেকটাই সহজে করা যাবে বলে পুলিশ কর্তারা আশা করছেন।

গোধরা পরবর্তী দাঙ্গায় ১৮ জনের যাবজ্জীবন
গোধরা-পরবর্তী ওড় গ্রামের হত্যাকাণ্ডে খুন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ১৮ জনকে আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল গুজরাত আদালত। তাদের প্রত্যেককে ৫৮০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। সে দিনের ঘটনায় জড়িত অন্য ৫ জনকে সাত বছরের জেল হেফাজত ও ৩৮০০ টাকা জরিমানা করছেন বিচারপতি পুনম সিংহ। গোধরা-কাণ্ডের পরে ২০০২ সালের ১ মার্চ প্রায় দেড় হাজার লোক মিলে ওড় গ্রামে একটি বাড়িতে ৯ মহিলা এবং শিশু-সহ ২৩ জনকে পুড়িয়ে মারে। সে দিনের হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অভিযোগের আঙুল ওঠে ৪৫ জনের দিকে। ওই ৪৫ জনের মধ্যে থেকে এ বার ২৩ জনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করল গুজরাত আদালত। বাকিদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে। আদালতে বিশেষ সরকারি আইনজীবী পি এম পারমার এ দিন বলেন, “দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলাম আমরা। ভবিষ্যতে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।”

নিরাপত্তা শিল্ড পাচ্ছে পূর্ব রেল
ট্রেনের ভিতরে অপরাধ কমানো এবং বছরভর তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার, দু’টি ক্ষেত্রেই বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছে পূর্ব রেল। তাই এ বছর তাদেরই ‘প্যাসেঞ্জার সিকিওরিটি শিল্ড’ বা যাত্রী নিরাপত্তা শিল্ড দিচ্ছে রেল মন্ত্রক। ১৬ এপ্রিল দিল্লিতে রেল মন্ত্রকের এক অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুকুল রায় ওই পুরস্কার তুলে দেবেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার জ্ঞানচন্দ্র অগ্রবালের হাতে।, দু’-একটি বড় ঘটনা ছাড়া ২০১১-’১২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পূর্ব রেলের এলাকায় তুলনামূলক ভাবে অপরাধের সংখ্যা কমেছে। কমেছে ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইও। রেলের সুরক্ষা বাহিনী বিভিন্ন ট্রেন, প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে। আটক করা হয়েছে রাইফেল, পিস্তল, বুলেট ও বোমার মশলা। আরপিএফের সাফল্যের জন্যই রেলের মোট ১৭টি জোনের মধ্যে পূর্ব রেলকে শিল্ড দেওয়া হচ্ছে।

খুঁটিতে পাঁচটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিল জঙ্গিরা
রাঁচিতে দিন তিনেক আগে নির্মীয়মান একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে জঙ্গি হামলার ক্ষত এখনও শুকোয়নি। এর মধ্যেই গত কাল রাজধানীর লাগোয়া খুঁটি জেলায় বেপরোয়া হামলা চালাল পিএলএফআই-এর জঙ্গিরা। খুঁটি-চাইবাসা রোডের উপর যাত্রীদের নামিয়ে তারা বেসরকারি যাত্রী পরিবহণের পাঁচটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিল। খুঁটির পুলিশ সুপার এম তামিলভানান জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে খুঁটির মারহু থানা এলাকায়। তিনি বলেন, গত কাল ওই থানা এলাকায় পিএলএফআই বনধের ডাক দিয়েছিল। তবে বন্ধের বিষয়টি সে ভাবে প্রচার না-হওয়ায় অনেকেই জানতে পারেনি। বন্ধের ডাক থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় গাড়ি বার করার শাস্তি হিসেবেই গাড়িগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে গাড়ির চালকরা পুলিশকে জানিয়েছে। তবে রাজ্য পুলিশের কর্তারা গত কয়েকদিনের এই পিএলএফআই তৎপরতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, এগুলি ছোট ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। উল্লেখ্য, মাওবাদী মূল সংগঠন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েই পিএলএফআই-এর জন্ম। তবে কৌশলগত কারণেই রাঁচি এবং খুঁটির ঘটনাকে হাল্কা করে দেখানো হচ্ছে বলে প্রশাসনেরই একাংশের ধারণা।

শিক্ষক খুনকে ঘিরে আরায় ছাত্র বিক্ষোভ
গুলি করে এক শিক্ষককে হত্যা করল দুষ্কৃতীরা। এই শিক্ষকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাস্তান নামল ছাত্ররা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিহারের আরায় রাস্তা অবরোধ করে তারা, কয়েকটি সরকারি দফতরে ভাঙচুরও চালানো হয়। অপরাধীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ হৃদয় নারায়ণ সিংহ (৩৫) নামে ওই শিক্ষক আরা জেলা সদরে, বিডিও মোড়ের কাছে একটি কোচিং সেন্টার থেকে পড়িয়ে ফিরছিলেন। কোচিং সেন্টারের ২০০ গজ দূরে তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা পর পর সাতটি গুলি করে। চারটি গুলি তাঁর মুখে লাগে এবং তিনটি লাগে পিঠে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। বক্সা জেলার বাসিন্দা হৃদয় নারায়ণ কাজের সূত্রে আরাতেই বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। দু’বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন। তাঁর একটি সন্তানও আছে। খুনের ঘটনা জানার পরেই আজ সকালে আরা-পটনা রাস্তা অবরোধ করেন এলাকার মানুষ, নেতৃত্বে ছিল ছাত্ররা। ভাঙচুর চালানো হয় আরা রেল স্টেশনে। কেন এই খুন তা নিয়ে পুলিশ অন্ধকারে। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি সারাদিন ছাত্র পড়াতেন। তাতে তাঁর রোজগারও বেশ ভাল ছিল। ডিএসপি (টাউন) জি এম কুমার বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে পুরনো কোনও শত্রুতা থেকে এই খুন কী না তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে।”

সাত অপরাধী ধৃত, উদ্ধার অস্ত্র
রোহতাস জেলার পুলিশ ৭ অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি কার্বাইন, একটি রাইফেল, চারটি পিস্তল এবং ৩০ রাউন্ড কার্তুজ। ডিজি অভয়ানন্দ জানিয়েছেন, “এই অপরাধীদের পুলিশ খুঁজছিল। এদের বিরুদ্ধে অনেকগুলি অপরাধের মামলা আছে।”

গুমলায় জঙ্গিদের হাতে দম্পতি খুন
নিজের বাড়ির দাওয়া বসে গল্প করার সময়ে আততায়ীর গুলিতে নিহত হলেন এক দম্পতি। মাওবাদী প্রভাবিত গুমলা জেলার কামডারা থানা এলাকায় গত কাল এই চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দম্পতি হত্যার দায় স্থানীয় পিএলএফআই নেতৃত্ব স্বীকার করেছেন বলে আজ গুমলার এসডিপিও চন্দন সিংহ জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা হলেন, বেলদারি ওহডার (৩৫) এবং তাঁর স্ত্রী সুসারিদেবী (২৫)। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, পিএলএফআই-এর নামে খুনের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেওয়া হলেও এটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়। নিহত দম্পতির রাজনৈতিক পরিচয় এখনও মেলেনি। প্রাথমিক তদন্তে ব্যক্তিগত বিরোধের জেরেই এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা। তদন্ত শুরু হলেও আততায়ীদের হদিশ পাওয়া যায়নি।

জঙ্গিদের হাতে খুন বিজেপি নেতা
দিন দুপুরে ঝাড়খণ্ডের সিমডেগায় রাস্তার উপরে গুলি করে হত্যা করা হল এক বিজেপি নেতাকে। নিহতের নাম উমাশঙ্কর জয়সোয়াল। তিনি সিমডেগা জেলার বিজেপির সভাপতি ছিলেন। এই খুনের পিছনে জঙ্গিদের হাত থাকার অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী। বিজেপির রাজ্য নেতারা জানান, সিমডেগা জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই উমাশঙ্করবাবুর গোলমাল চলছিল। রাজনৈতিক কারণের পাশাপাশি পেশাগত কারণেও সম্প্রতি এলাকায় অনেকের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। পুলিশ ও দলীয় সূত্রে খবর, ঠিকাদারি কারবার করতেন উমাশঙ্কর। সিমডেগা জেলার এসপি প্রভাত কুমার জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আজ বেলা এগারোটা নাগাদ বাকারবারের কাছে একটি নির্মাণ কাজের তদারকিতে গিয়েছিলেন উমাশঙ্করবাবু। সেখানে জনা পাঁচেক সশস্ত্র যুবক হানা দিয়ে উমাশঙ্করবাবুকে ঘিরে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

অপহরণের বিরোধিতা সব্যসাচী পণ্ডার স্ত্রীর
পাওলো বোসুস্কোকে ছাড়তে যে সাত বন্দির মুক্তি দাবি করেছিলেন মাওবাদী নেতা সব্যসাচী পণ্ডা, তাতে ছিল তাঁর নামও। সেই তিনিই আজ বিরোধিতা করলেন দুই ইতালীয়ের অপহরণের! সব্যসাচী পণ্ডার স্ত্রী শুভশ্রী ওরফে মিলির কথায়, “দাবি পূরণের জন্য কাউকে আটকে রাখাটা অন্যায়। এ ভাবে সরকারকে চাপ দেওয়া উচিত নয়। এতে রাজ্যেরই দুর্নাম হয়। বিদেশিরা আমাদের অতিথি।” মঙ্গলবার গভীর রাতে ভুবনেশ্বরে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে বোসুস্কোর মুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারী হতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। দু’বছর জেলে থাকার পর দু’দিন আগেই গুনপুরের এক আদালত মুক্তি দিয়েছে শুভশ্রীকে। এই মুক্তি মাওবাদীদের ‘চাপে’ হয়নি দাবি করে শুভশ্রী বলেন, “যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না বলে আদালত আমাকে মুক্তি দিয়েছে। এর মধ্যে মাওবাদীদের কোনও ভূমিকা নেই।” সব্যসাচী-শুভশ্রীর আট বছরের মেয়ে গুড্ডিও আজ বাবাকে মুলস্রোতে ফিরে আসতে অনুরোধ করে।

তিন দিনে সই হয়েছিল টাট্রা চুক্তি
সেনাবাহিনীকে টাট্রা ট্রাক বিক্রির চুক্তি মাত্র তিন দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড ও ব্রিটেনের টাট্রা সিপক্স। টাট্রা কাণ্ডের তদন্তে এ কথা জেনে স্তম্ভিত সিবিআই অফিসাররাও। সেনাকে টাট্রা ট্রাক বিক্রি করতে সেনাপ্রধান বিজয়কুমার সিংহকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সালের ১১ জুন স্লোভাকিয়ায় টাট্রা সিপক্স কর্তাদের সঙ্গে ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেডের বৈঠক হয়। ১৪ জুন বেঙ্গালুরুতে চুক্তি স্বাক্ষর করে দু’পক্ষ। এত দ্রুত চুক্তি করা হল কেন তা খতিয়ে
দেখছে সিবিআই। সেনাপ্রধানের অভিযোগ, প্রাক্তন সেনা অফিসার তেজেন্দ্র সিংহ তাঁকে ১৪ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ অস্বীকার করে মানহানির মামলা করেছেন তেজেন্দ্র। অভিযোগ নিয়ে বিজয়কুমারের সঙ্গে কথা বলতে চায় সিবিআই। তার পরে তেজেন্দ্রকে জেরা করা হবে।

নূপুরের মামলা শুনল না সুপ্রিম কোর্ট
আইনজীবীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন নূপুর তলোয়ার। নয়ডার নিহত কিশোরী আরুষি তলোয়ারের মা নূপুরের বিরুদ্ধে গত কালই জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। সেই পরোয়ানায় স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নূপুর তলোয়ার। কিন্তু মামলাটি আজ শুনতে রাজি হননি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি এ কে পট্টনায়ক ও স্বতন্ত্র কুমার। আগামী কাল ফের এই মামলার শুনানি আছে। বহুবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও আদালতে হাজির হননি নূপুর তলোয়ার। গত কাল তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েও তাঁকে খুঁজে পায়নি সিবিআই। কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নূপুর? আজ তলোয়ারদের আইনজীবী অবশ্য দাবি করেছেন, নূপুর মোটেও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না। আগামী কাল নূপুর আদালতে হাজির হতে পারেন বলেও জানান তিনি। এর মধ্যে সিবিআইয়ের একটি সূত্র বলেছে, নূপুর কাল আদালতে এলে তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে।

সরকারি দফতরে স্বচ্ছতা আনতে নয়া ক্রয়নীতি
সরকারি দফতরের ক্রয় ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা আনতে নতুন আইন প্রণয়ন করতে চাইছে মনমোহন সরকার। এ জন্য ‘পাবলিক প্রোকিওরমেন্ট পলিসি’ নামে একটি নতুন বিলে আজ অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পঞ্চাশ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সামগ্রী কেনা বা কাজের জন্য দরপত্র হাঁকার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন ও স্বচ্ছতা বজায় রাখাই প্রস্তাবিত আইনের মূল্য লক্ষ্য। সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে বিলটি পেশ করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বল আজ বলেন, প্রশাসনের কাজে স্বচ্ছতা আনতে মনমোহন সিংহ সরকার বদ্ধপরিকর। মন্ত্রিসভার আজকের সিদ্ধান্ত সেই উদ্দেশ্য আরও একটি পদক্ষেপ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সরকারি দফতরের ক্রয় ব্যবস্থা এবং দরপত্র হাঁকা এ বার সবটাই ‘ইলেকট্রনিক’ ব্যবস্থায় হবে। যার অর্থ কারচুপির আর কোনও অবকাশ থাকবে না। সরকারের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে আজ মন্ত্রিসভার রাজনীতি বিষয়ক কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার বিষয়টি আরও কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে করা যেতে পারে সে ব্যাপারে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

ধৃত মাওবাদী নেতা
মোতিহারি থেকে এক মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে নরেশ পাসোয়ান নামে ওই মাওবাদী নেতাকে পাকড়িদয়াল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল এবং কিছু কার্তুজ মিলেছে। পুলিশ সুপার গণেশ কুমার বলেন, “ধৃতের নামে চারটি মামলা আছে। তাকে গ্রেফতার করায় পরবর্তী তদন্তে আমাদের সুবিধা হবে।”

দ্বিতীয় বিবাহে ‘না’ দারুল উলুমের
ভারতীয় রীতিনীতিতে দুই স্ত্রীকে ‘সমান চোখে’ দেখা স্বামীর পক্ষে বেশ কঠিন। তাই মুসলিমদের দ্বিতীয়বার বিবাহ না করার অনুরোধ জানাল দারুল উলুম। আজ প্রতিষ্ঠানের তরফে বলা হয়, “ইসলামে এক সঙ্গে দুই স্ত্রী রাখার অনুমতি থাকলেও, ভারতীয় ঐতিহ্য তা স্বীকার করে না।” উত্তরপ্রদেশের ইমামদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মুফতি জুলফিকার বলেন, “দুই স্ত্রীকেই সমান মর্যাদা দেওয়ার শর্তে ইসলামে দ্বিতীয় বিবাহের অনুমতি থাকলেও দুই মহিলার সঙ্গে সমান ব্যবহার করা কঠিন।”

গাঁজা আটক
ভাগলপুরের ভোগা থানা এলাকা থেকে ৩৬০ কিলোগ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, গত কাল রাতে ৮০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে একটি গাড়িতে করে ওই গাঁজা পাচার হচ্ছিল। পুলিশ খবর পেয়ে গাড়িটির পথ আটকায়। পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।

এনসিএইচআরএইচ নিয়েও আপত্তি জয়ার
জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র নিয়ে বিরোধিতার পর এ বার ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রিসোর্স ফর হেল্থ’ (এনসিএইচআরএইচ) বিল নিয়েও আপত্তি জানালেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। তাঁর বক্তব্য, এই বিল এলে রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হবে। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন তিনি। রাজ্যসভা বিলটিকে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। জয়ললিতার দাবি, এই বিল পাশ হলে রাজ্যের হাতে করার মতো কিছু থাকবে না।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.