অবসরের পর রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের পুণেতে যে বাড়িতে থাকার কথা, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের এক সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির বাড়ি তৈরির জন্য ২ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গফুট এলাকা রাখা হয়েছে, যা ‘বেআইনি’। অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির থাকার জন্য এতখানি জায়গা কেন বরাদ্দ করা হয়েছে, সে প্রশ্নও উঠেছে। জুলাইতেই রাষ্ট্রপতির মেয়াদকাল শেষ হচ্ছে পাটিলের। তার আগেই বিশাল বাংলোয় অবসর জীবন কাটানো নিয়ে বিতর্কে তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুরেশ পাটিল জানিয়েছেন, পুণের খাদকি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় রাষ্ট্রপতির অবসরকালীন বাড়ি তৈরির জন্য ২ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গফুট এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। ব্রিটিশ জমানার দু’টি বিরাট বাংলোও রাতারাতি ভেঙে ফেলা হয়েছে। কেন এমনটা করা হয়েছে সে সম্পর্কে জানার জন্য একাধিকবার ‘তথ্য জানার অধিকার’-এর আবেদন জমা দিয়েও কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন সুরেশ পাটিল।
রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি অবসর পরবর্তী বাংলোর জন্য জমি ‘দখল’ করেছেন, এ কথা ভিত্তিহীন। যে জমি নিয়ে বিতর্ক সেটির মালিকানা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতির অবর্তমানে ওই জমি এবং তাতে তৈরি বাংলোর মালিকানা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেরই থাকবে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। পুরনো বাংলো ভেঙে ফেলার অভিযোগও অস্বীকার করে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতির পছন্দ অনুযায়ী পুরনো বাংলোগুলি নতুন করে সাজানো হয়েছে মাত্র। রাষ্ট্রপতি ভবনের মুখপাত্র অর্চনা দত্ত বলেন, “১৯৬২-এ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিকে টাইপ সেভেন বাংলো দেওয়া হয়। বাংলোর জন্য ১.৯৩ লক্ষ বর্গফুট জমি বরাদ্দ থাকে। অফিস, ভৃত্যদের থাকার জায়গা ও গ্যারাজের জন্য বরাদ্দ থাকে আরও ১৬,১৪৫ বর্গফুট।” রাষ্ট্রপতিকে জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। |