আলো দেখাল না শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার। ফেব্রুয়ারিতে তা দাঁড়িয়েছে ৪.১%।
গত ২০১১-র ফেব্রুয়ারির ৬.৭ শতাংশের তুলনায় এই হার অনেকটাই কম। শিল্পমহল ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যাশাও তা মেটাতে পারেনি। মূলত কারখানায় এবং ভোগ্যপণ্য ক্ষেত্রে উৎপাদন আশানুরূপ না-বাড়াই শিল্প বৃদ্ধির তলানিতে পড়ে থাকার কারণ বলে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে। এই হারকে হতাশাজনক তকমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া। প্রণববাবু বলেছেন, “অর্থনীতিকে নতুন করে চাঙ্গা করতে সরকার ব্যবস্থা নেবে।” তবে আগামী ১৭ এপ্রিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতির পর্যালোচনায় এর প্রভাব যে পড়বে, সে কথা কবুল করেন অর্থমন্ত্রীও। পাশাপাশি, উদ্বিগ্ন শিল্পমহল শিল্পের চাকাকে দ্রুত বৃদ্ধির পথে ফেরাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সরাসরি সুদ কমানোর আর্জি জানিয়েছে। আর্থিক সংস্কারের পথে ফিরতে কেন্দ্রীয় সরকারকে জরুরি ব্যবস্থা নিতে বলেছে তারা। |
কেন্দ্র ও শিল্পমহলের পক্ষে আরও উদ্বেগের কারণ তথ্য সংগ্রহে ত্রুটির কারণে জানুয়ারির শিল্প বৃদ্ধির সংশোধিত হারের এক ধাক্কায় ১.১৪ শতাংশে নেমে আসা। প্রাথমিক হিসাব ছিল ৬.৮%। ফলে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে আগের মাসে যে আশার আলো দেখেছিল সংশ্লিষ্ট মহল, তা অবাস্তব বলে মনে করছে তারা। প্রণববাবুর কথায়, “২০১১-’১২ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে উৎপাদন ঘুরে দাঁড়াবে বলে অনুমান করা হলেও, বাস্তবে তা ঘটেনি।”
২০১১-’১২ অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে ফেব্রুয়ারির জন্য কারখানার উৎপাদন আগের বছরের ৮.১ শতাংশের তুলনায় অর্ধেকেরও বেশি কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৫%। ফেব্রুয়ারির হার ৪%। গত বছর তা ছিল ৭.৫%। এই সুচক হিসাবের জন্য ৭৫% গুরুত্ব দেওয়া হয় উৎপাদন শিল্পকেই। পাশাপাশি, ভোগাপণ্য এবং কাঁচা মালের উৎপাদনও আশানুরূপ নয়। এমনকী দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য তৈরি ভোগ্যপণ্য উৎপাদন ফেব্রুয়ারিতে সরাসরি কমেছে ৬.৭%। আগের বছর একই সময়ে তা বেড়েছিল ১৮.২%। তবে মূলধনী পণ্যের উৎপাদন আলোচ্য মাসে বেড়েছে ১০.৬%। আগের বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা কমেছিল ৫.৭%।
এই পরিপ্রেক্ষিতে অ্যসোচ্যাম মনে করছে সদ্য সমাপ্ত অর্থবর্ষে শিল্প বৃদ্ধি ৩.৫% ছাড়াবে না। তবে সিআইআইয়ের মতে ফেব্রুয়ারির এই হার প্রত্যাশিতই ছিল। |