|
|
|
|
বৃদ্ধা খুন, ধন্দে পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • লাভপুর |
নিজের বাড়িতেই খুন হলেন এক বৃদ্ধা। তবে তাঁর খুনের কারণ এখনও জানা যায়নি। পুলিশ জানায়, যোগমায়া পাল (৮৫) নামে লাভপুরের কুনিয়াড়া গ্রামের ওই বৃদ্ধা খুনের তদন্ত চলছে। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “আপাতত একটি খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। তবে কী কারণে ওই বৃদ্ধাকে খুন করা হল এখনও তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ সব সম্ভবনা খতিয়ে দেখছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
বাল্যবিধবা নিঃসন্তান যোগমায়াদেবী ভগ্নপ্রায় একটি বাড়িতে একাই থাকতেন। মাস দেড়েক ধরে তিনি বিছানা ছেড়ে উঠতে পারছিলেন না। লাগোয়া একটি বাড়িতে থাকেন তাঁর এক ভাইপো নবকুমার পাল। তিনি পিসিমার দেখাশোনা করতেন। বুধবার রাতে ‘ভক্তা’ হিসেবে নবকুমারবাবু গ্রামের শিবতলায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি ফিরে দেখেন পিসিমার ঘরের দরজা খোলা। সারা শরীরে কাস্তে দিয়ে কোপানোর দাগ। দেহের উপরে পড়ে রয়েছে একটি রক্ত মাখা কাস্তে, সারা ঘর লন্ডভন্ড। |
|
ঘটনাস্থলে তদন্তে এসডিপিও। ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
নবকুমারবাবুর স্ত্রী করবীদেবী বলেন, “ফল, জল খেয়ে উপোস ভঙ্গের পরে স্বামী ঘরে ফিরে দেখেন পিসিমার ঘরের দরজা খোলা। উনি আমাকে খোঁজ নিতে বলেন। গিয়ে দেখি এই কাণ্ড।” এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ তদন্তে আসেন এসডিপিও (বোলপুর) দেবস্মিতা দাস। তিনি এ ব্যাপারে কিছু মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার সম্বল বলতে কিছুই নেই। বিঘে দু’য়েক জমির ভাগ চাষির কাছ থেকে পাওয়া ধান থেকেই দিন চলত। শয্যাশায়ী হওয়ার আগে থেকে তিনি নিজে রান্না করে খেতেন। শয্যাশায়ী হওয়ার পর থেকে বাসনপত্র যা ছিল সবই ভাইপোর বাড়িতে রাখা ছিল। স্বাভাবিক ভাবে চুরির জন্য এই খুন তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কিছু দিন আগে ওই বৃদ্ধা জমির ধান বিক্রি করেছিলেন স্থানীয় একটি আড়তে। সেই টাকা অবশ্য তিনি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত পাননি। পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা তা না জেনেই ওই টাকা হাতানোর জন্য বাড়িতে হানা দেয়। বৃদ্ধা তাদের চিনতে পারায় দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। তদন্ত চলছে, তবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার বা আটক হয়নি। |
|
|
|
|
|