বধূ নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামী। অথচ স্কুলের শিক্ষক বলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করছে না। উল্টে স্বামীর সামাজিক সম্মান বজায় রাখার জন্য মামলা প্রত্যাহার করে নিতে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারী অফিসার। বর্ধমানের এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেনের কাছে বৃহস্পতিবার এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক গৃহবধু। এসপির কাছে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার আর্জিও জানান তিনি। এসপি বলেন,“ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। একবার অভিযোগ দায়ের করার পরে কাউকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে পারে না পুলিশ। ওই গৃহবধূর অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপা রুদ্র নামে ওই বধূর বাপের বাড়ি বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার মঙ্গলপুর গ্রামে। ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে খন্ডঘোষ থানার আমরাল গ্রামের বাসিন্দা, স্থানীয় একলক্ষি হাইস্কুলের গণিতের শিক্ষক গণেশ রুদ্রর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দীপার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হত। এমনকী, জোর করে তাঁর গর্ভপাত করানো হয়েছে। শ্বশুর বাড়িতে থাকতে না পেরে বাপের বাড়িতে ফিরে যান তিনি। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল খন্ডঘোষ থানায় তিনি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও ১২ এপ্রিল পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
লিখিত অভিযোগে দীপা এসআইকে জানান, মামলার তদন্তকারী অফিসার সুখেন্দুবাবু তাঁকে বলেছেন, তাঁর স্বামী একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান করলে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সামজিক সম্মান নষ্ট হবে। তাতে দীপারও ক্ষতি হবে। দীপা এই এই মামলা প্রত্যাহার করে নিলেই সকলের মঙ্গল। সুখেন্দুবাবু তাঁকে আরও বলেন, এক শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা সামাজিক অন্যায়। এসআই সুখেন্দুবাবু অবশ্য এব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। |