নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চিকিৎসা গাফিলতিতে এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃতার নাম সুমিত্রা দত্ত (২৬)। এ দিন মৃতার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে সরব হন। ওঠে তদন্তের দাবি। পরিস্থিতি দেখে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহের মধ্যে এই কমিটি কলেজের অধ্যক্ষ শুদ্ধধন বটব্যালের কাছে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন কর্তৃপক্ষ।
অধ্যক্ষ বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। এ জন্য একটি তদন্ত কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।” সুমিত্রাদেবীর স্বামী বিপুল দত্ত এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “ভুল চিকিৎসার জন্যই এই মৃত্যু।” |
হাসপাতাল সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ |
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিপুল দত্ত’র বাড়ি মেদিনীপুর শহরের মহাতাবপুরে। তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গত ১২ মার্চ মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি হন। সেই রাতে অস্ত্রোপচারের পরে তিনি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু তারপরই সুমিত্রাদেবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক জানান, ফের অস্ত্রোপচার করতে হবে। সেই মতো প্রয়োজনীয় কাজগপত্রে সইও করিয়ে নেওয়া হয়। বিপুলবাবু বলেন, “এই সময় স্ত্রীর শারিরীক অবস্থার খোঁজখবর নিতে গেলে জানানো হয়, রোগী সুস্থ আছেন।”
মঙ্গলবার সকালে সুমিত্রাদেবীর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ খবর পেয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিজনেরা। বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার জেরে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। হাসপাতাল সুপার রামনারায়ণ মাইতি বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পরিস্থিতি দেখে ৫ সদস্যের কমিটি তৈরি করেন কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে এই কমিটি তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ বলেন, “তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” এরপর হাসপাতাল চত্বরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। |