উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষার প্রসারে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানালেন উপাচার্য অরুণাভ বসু মজুমদার। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লাইফ স্কিল্স এডুকেশন’ শীর্ষক এক জাতীয় সেমিনারে তিনি এ কথা জানান। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উচ্চ শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুগত মারজিৎ। ইউনাইটেড ন্যাশনাল এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেসকো)-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শঙ্কর চৌধুরী, স্টেট রিসোর্স সেন্টার ফর অ্যাডাল্ট এডুকেশন ডিরেক্টর নন্দিনী কাজুরি। উপাচার্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ৬০ শতাংশ তফসিলি জাতি, উপজাতি, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের অনেককেই স্কুলমুখী করে তোলা যায়নি। ছেলেমেয়েদের স্কুল, কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো, পড়াশোনা করানোর মতো সামর্থ্য নেই ওই সমস্ত অনেক পরিবারের। তাদের সরকারি ভাবে অনুদান দেওয়া প্রয়োজন। সকলকে মিলে শিক্ষার প্রসারে এগিয়ে আলতে হবে।” তিনি জানান, শিক্ষার অধিকার আইন থাকলেও তা প্রয়োগ সব ক্ষেত্রে করা যায়নি। সে জন্য সমস্যা রয়েছে। |
সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট বলে এ দিন সন্তোষ প্রকাশ করেন উচ্চ শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “উত্তর এবং উত্তরপূর্ব ভারতে বেশি বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সে ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মের উন্নতিতে আর্থিক সাহায্য করতে সরকার ভূমিকা নেবে।” স্টেট রিসোর্স সেন্টার ফর অ্যাডাল্ট এডুকেশনের ডিরেক্টর নন্দিনী দেবী জানান, ইতিমধ্যেই ‘সাক্ষর ভারত’ কর্মসূচির অধীনে রাজ্যের ৯ টি জেলাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের ৫টি জেলা— জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর এবং মালদহ। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ২ দিন ধরে সেমিনার চলবে বলে জানান উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনব্যাপী শিক্ষা বিভাগের প্রধান মনতোষ বসু। |