এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালি থানার মণিপুর গ্রামে। অনিতা বর (৩৬) নামে ওই মহিলার দেহ বাড়ির পাশে একটা ঝোপের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনিতাদেবী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হয়ে রান্নার কাজ করতেন। হাবরায় টেলারিংয়ের দোকানে কাজ করার জন্য তাঁর স্বামী দিলীপবাবু অধিকাংশ সময়েই হাবরাতেই থাকতেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ছেলে বাবুসোনাকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন অনিতাদেবী। ঘটনার দিন দিলীপবাবু বাড়িতে ছিলেন না। সোমবার রাতে তাঁর ছেলে অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে দেখে দরজা খোলা এবং তার মা বাড়িতে নেই। সারা রাত খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে বাবুসোনা বাড়ির পিছনে ঝোপের মধ্যে তার মাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দিলীপবাবু গ্রামে আসেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হওয়া চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে গুলি ভর্তি ২টি পাইপগান, ভোজালি, লোহার রড এবং কয়েকটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জের সর্দারপাড়া ফেরিঘাটে। মঙ্গলবার ধৃতদের বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হেমনগরের যোগেশগঞ্জ বাজারে তিনজন সোনার ব্যবসায়ীর দোকানে লুঠ চালিয়ে নগদ কয়েক লাখ টাকা এবং গয়না নিয়ে পালিয়ে ছিল দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন দুষ্কৃতী ফের ওই বাজারে লুঠপাট চালানোর পরিকল্পনা করে সর্দারপাড়া ফেরিঘাটে জড়ো হচ্ছিল বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। সংশ্লিষ্ট থানার ওসি অলোকেশ বালা বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। যদিও পুলিশ আসছে বুঝতে পেরে কয়েকজন দুষ্কৃতী যন্ত্রচালিত নৌকাতে করে রায়মঙ্গল নদী দিয়ে সুন্দরবন জঙ্গলের দিকে চলে যায়। তবুও নদীর পাড়ে দাঁড়ানো চার জনকে পুলিশ ধরে ফেলে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের বিরুদ্ধে নদীপথে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকায় একাধিক দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে দুষ্কৃতীরা যোগেশগঞ্জ বাজারে তিনজন সোনার ব্যবসায়ীর দোকানে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে।
|
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বধূর। বন্দনা আচার্য (২৭) নামের ওই মহিলার বাড়ি বসিরহাট থানার দিঘিরোডের পাশে সিকারিবাগান এলাকায়। সোমবার দুপুরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে ভোর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে বিয়ে ওই মহিলার বিয়ে হয়। সোমবার বাড়িতে আগুন জ্বলছে দেখে প্রতিবেশীরা বন্দনাদেবীর বাড়ি গিয়ে তাঁর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেন। সেই সময় তার শাশুড়ি পুকুরে গিয়েছিলেন। শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েক দিন থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বন্দনাদেবী। পুলিশ জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। |