|
|
|
|
শিক্ষক নিয়োগ, মজুত টাকা খরচে উদ্যোগী নতুন উপাচার্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একাদশ পরিকল্পনায় ৩৭ জন শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ২০০৮ থেকে শিক্ষক নিয়োগ আর করে উঠতে পারেনি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ, প্রতিটি বিভাগেই শিক্ষক অপর্যাপ্ত। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা উন্নয়নমূলক কাজের জন্যও একাদশ পরিকল্পনায় ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল ইউজিসি। তারও বেশিরভাগ অংশই পড়ে ছিল বছরের পর বছর। চলতি মাসের মধ্যে খরচ করতে না পারলে ওই টাকা ফেরৎ চলে যাবে জেনে খরচের পরিকল্পনা করেছেন নতুন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী। শুরু করেছেন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াও।
|
রঞ্জন চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র। |
শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি সবিশেষ জরুরি। সব বিভাগেই শিক্ষকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। লেকচারার, রিডার ও প্রোফেসর মিলিয়ে ৪৬টি পদ শূন্য! অথচ ইউজিসি ২৭টি বিভাগের জন্য ৩৭টি পদ মঞ্জুর করেছিল সেই ২০০৮-য়েই। রাজ্য সরকারেরও অনুমতি মিলেছিল ২০১০-এর গোড়াতেই। তার পরেও নানা টালবাহানায় পদ-পূরণ হয়নি। রাজ্যে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও পরিবর্তন হয়েছে। নতুন উপাচার্য কাজে যোগ দিয়েই দেখেন, অনুমোদন সত্ত্বেও ৩৭টি শূন্য-পদে লোক নিয়োগ হয়নি। মার্চের মধ্যে নিয়োগ না হলে, অনুমোদনের আর গুরুত্বই থাকবে না। তড়িঘড়ি শূন্য-পদ পূরণে উদ্যোগী হয়েছেন উপাচার্য।
তাঁর বক্তব্য, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনিতেই শিক্ষক কম। সেখানে শূন্য-পদ পূরণের সুযোগ পেয়েও তা ফেলে রাখা উচিত হবে না। তা ছাড়া মার্চের মধ্যে অনুমোদিত পদ পূরণ করা না গেলে, চূড়ান্ত সমস্যা হবে। তাই দ্রুত শূন্য-পদ পূরণ করা হচ্ছে।”
এত দিন শূন্য-পদ ফেলে রাখার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণকেই দায়ী করেছে তৃণমূল শিক্ষা সেল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল শিক্ষা সেলের আহ্বায়ক ইন্দ্রানী দত্তচৌধুরীর অভিযোগ, “এত দিন তো শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপোষণই হত। কে কার লোক ঢোকাবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কে শূন্যপদ পূরণ হত না। এ বার শূন্য-পদ পূরণ হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও আমাদের দাবি থাকবে, যেন যোগ্যতম ব্যক্তিই সুযোগ পান।” অবশ্য উপাচার্যের আশ্বাস, “যোগ্যতম ব্যক্তিই যাতে সুযোগ পান, সে জন্য বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসা হচ্ছে। ইন্টারভিউ-বোর্ডে কারা থাকবেন, তা-ও গোপন রাখা হচ্ছে।”
শূন্য-পদ পূরণের পাশাপাশি প্রশাসনিক ও গ্রন্থাগার-ভবন নির্মাণ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি, অ্যানিম্যাল হাউস তৈরি থেকে ‘মার্জড স্কিমে’র বিভিন্ন কাজের জন্যও উপযুক্ত সংস্থাকেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে উপাচার্য জানিয়েছে। এই সব প্রকল্পে প্রায় ১২ কোটি টাকা পেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। যে টাকাও এসেছিল সেই ২০০৮ সালেই। ২০১২-র মার্চের মধ্যে যা খরচ করার কথা। কিন্তু বেশিরভাগ অর্থই খরচ না হয়ে পড়েছিল। এত দিনে সেই অর্থ খরচেও উদ্যোগী হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য জানান, প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|