|
|
|
|
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় |
ভাষা পরীক্ষাগার চালু করতে ফের শুরু তোড়জোড় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ধুমধাম করে ‘ল্যাঙ্গোয়েজ ল্যাবরেটরি’ তৈরি হয়েছিল। কেনা হয়েছিল নানা সরঞ্জাম। কিন্তু এই ভাষা-পরীক্ষাগারে ভাষা নিয়ে কোনও কাজই হয়নি! ধীরে ধীরে তালাবন্ধ ঘরের ভিতরে ছড়িয়েছে মাকড়সার জাল। এ বার সেই ল্যাবরেটরি সচল করায় উদ্যোগী হচ্ছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “আগে ল্যাঙ্গোয়েজ ল্যাবরেটরি তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তার কোনও অস্তিত্ব নেই। তাই নতুন করে তা করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্যই এটা করা হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ২০০৮ সালেই ল্যাঙ্গোয়েজ ল্যাবরেটরি চালুর উদ্যোগ হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দায়িত্বে ছিল এই ল্যাবরেটরি। একটি ঘরে ৩৬ জন যাতে বসতে পারেন, তার জন্য চেয়ার-টেবিল কেনা হয়েছিল। সাউন্ড সিস্টেম, প্রোজেক্টর, কম্পিউটর প্রভৃতি প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও কেনা হয়েছিল। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচও হয়েছিল! কিন্তু ২০০৮ থেকে ২০১২চার বছরেও সে ল্যাবরেটরি চালু করা যায়নি! বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রীদেরও যেমন উৎসাহিত করা যায়নি, তেমনই বাইরের ছাত্রছাত্রীদের কাছেও তা আকর্ষণীয় করা যায়নি। যে কারণে ছাত্রছাত্রী ভর্তির আবেদন জানিয়েও সাড়া মেলেনি। হাতে গোনা ৪-৬ জন আবেদন করায় ল্যাবরেটরি বন্ধই থেকে যায়।
এই ল্যাবরেটরির কাজ কী? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মূলত ইংরাজি বলতে শেখানোই এই ল্যাবরেটরির কাজ। বর্তমানে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ইংরাজিতে ততটা দক্ষ নন। শুধু তাই নয়, ইংরাজি নিয়ে পড়াশোনা করা অনেক ছাত্রছাত্রীও ইংরাজি কথা বলায় সাবলীল নন। দু’চার মিনিট কথা চলার পরেই থমকে যান। এই ল্যাঙ্গোয়েজ ল্যাবরেটরি ওই দুর্বলতা দূর করবে বলেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাই এখানে সুযোগ পাবেন। সপ্তাহে দু’দিন বা তিন দিন ক্লাস হবে দেড়-দু’ঘন্টা করে। ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষ করেই ল্যাবরেটরিতে যেতে পারবেন। এর জন্য ন্যূনতম একটা ভর্তি ফি নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যাতে ল্যাবরেটরি চালানো ও সংরক্ষণের কিছুটা খরচ উঠে আসে। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে তৈরি এই ল্যাবরেটরি এত দিন কেন চালু করা যায়নি? কেনই বা এত টাকা নষ্ট হল? এ বিষয়ে অবশ্য কর্তৃপক্ষের সদুত্তর মেলেনি। বর্তমান উপাচার্য বিতর্ক না বাড়িয়ে ফের নতুন করে তা চালু করার ব্যাপারেই উদ্যোগী হচ্ছেন। উপাচার্যের কথায়, “আগের সমস্যা না তুলে এ বার নতুন করে করতে চাইছি। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা ওই ল্যাবরেটরি থেকে ইংরাজিতে কথা বলা শিখে নিতে পারে।” |
|
|
|
|
|