যথাসময়ে কাজ শেষের নির্দেশ |
উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বৈঠকে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান (আইএপি) হোক বা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত উন্নয়ন প্রকল্পপ্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে কাজ করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব জয়া দাশগুপ্ত। মঙ্গলবার মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দু’দফায় বৈঠক করেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব। প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে কাজ কতটা এগিয়েছে, কোথাও কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে কি নাজানতে চান তিনি। বৈঠক শেষে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব বলেন, “আইএপি ও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত উন্নয়ন প্রকল্পের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলাম। দু’টি কাজই ভাল এগোচ্ছে। আমি খুশি। উন্নয়নের কাজে কোনও সমস্যা নেই জেলায়।”
পাশাপাশি পানীয় জল ও অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব জানান, জেলায় ইতিমধ্যেই ৩৯টি পানীয় জল প্রকল্প তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ির পরিকল্পনা সংক্রান্ত একটি সিডি এ দিন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তকে দিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব। |
|
মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে চলছে বৈঠক। মঙ্গলবারের নিজস্ব চিত্র। |
বর্ধমান ও পুরুলিয়া জেলাকেও ওই সিডি দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের কথায়, “অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যাতে নিয়মিত খাবারের জোগান থাকে ও উন্নত মানের খাবার দেওয়া হয় সে জন্যই এই সিডি দেওয়া হল।” প্রথমে কয়েকটি কেন্দ্রে ওই সিডি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষামূলক ভাবে সেই সিডি দেখে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে কেন্দ্রগুলিতে। সুফল মিললে জেলার প্রতিটি কেন্দ্রেই ওই সিডি পাঠানো হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আইএপি-র কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে জেলায়। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৪৫ কোটি টাকা পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। যার মধ্যে ৩০ কোটি টাকা খরচও হয়ে গিয়েছে। আরও ১০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা। চলতি বছরের ৩১ মে-র মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব বলেন, “৩১ মে-র মধ্যেই ৫৫ কোটি টাকার কাজ শেষ হয়ে যাবে জেলায়।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত প্রকল্পগুলির কাজকর্মও দ্রুত এগোচ্ছে বলে বৈঠকে দাবি করে জেলা প্রশাসন। কলেজ, আইটিআই তৈরি, স্টেডিয়াম সংস্কার, মাধ্যমিক স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা-সহ বিভিন্ন কাজ চলছে এখন। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় ধরতে বলা হয়েছে। তা হলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার একটা তাড়া থাকবে। ত্বরাণ্বিত হবে উন্নয়নের গতি। |
|