এক ঠিকাদারকে অপহরণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়ার বাগনানের চন্দ্রপুর গ্রাম থেকে গোবিন্দ বিশ্বাস এবং বলরাম নস্কর নামে দুই অপহরণকারীকে ধরে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃতকেও। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছিল তাঁর নাম কমল বিশ্বাস। বাড়ি নদিয়ার গাংনাপুর থানা এলাকায়। অভিযোগ, গত সোমবার তাঁকে অপহরণ করে বলরাম ও গোবিন্দ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন রাতেই কমলবাবুর স্ত্রী সুপ্রভাদেবীকে ফোন করে ধৃতেরা জানায়, ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিলে তবে কমলবাবুকে ছাড়া হবে। বিষয়টি থানায় জানিয়ে দেন সুপ্রভাদেবী। পুলিশের পরামর্শমতো তিনি ধৃতদের ফোন করে কোথায় টাকা দিতে হবে তা জেনে নেন। পরে তা পুলিশকে জানিয়ে দেন। মঙ্গলবার বিকেলে বাগনানের মহিষরেখায় টাকা নিয়ে আসতে বলা হয় সুপ্রভাদেবীদের। সেই মতো গাংনাপুর থানা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশের একটি দল বাগনানে আসে। তাদের সঙ্গে ছিল উলুবেড়িয়া এবং বাগনান থানার পুলিশ। টাকা দেওয়ার নাম করে পুলিশের সঙ্গে আসেন কমলবাবুর দাদা কনকবাবু। বিকেল ৪টে নাগাদ মহিষরেখায় কনকবাবু এসে পৌঁছানো মাত্র ধৃতদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। ধৃতেরা তাঁকে সঙ্গে করে আনেন চন্দ্রপুর গ্রামের একটি বাড়িতে। পুলিশও কনকবাবুদের অনুসরণ করে। কমলবাবুর সঙ্গে দেখা হয় কনকবাবুর। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ধরে ফেলে বলরাম এবং গোবিন্দকে। উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শ্যামলকুমার সামন্ত বলেন, “কমলবাবু ঠিকা শ্রমিকদের জোগানের ব্যবসা করেন। ধৃতেরা জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে কমলবাবু প্রায় ৩ লক্ষ টাকা নিলেও চুক্তি মোতাবেক শ্রমিক জোগান দেননি। ফেরত দেননি টাকাও। সেই কারণেই অপহরণ করে টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে ধৃতেরা।”
|
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল বালি পুরসভার এক কর্মীর। মঙ্গলবার সকালে, হাওড়া মেন শাখার বালি স্টেশনের কাছে। মৃতের নাম গোবিন্দ সাউ (৪৭)। তাঁর বাড়ি হাজারিবাগে। বালিতে পুরসভার কোয়ার্টার্সে থাকতেন তিনি। পুরসভা সূত্রে খবর, জঞ্জাল সাফাই দফতরের প্রশাসনিক বিভাগের কর্মী গোবিন্দবাবু প্রতি দিনই ভোর ৬টার মধ্যে কাজে যোগ দিতেন। কিন্তু এ দিন তিনি আসেননি। পুলিশ জানায়, গোবিন্দবাবুর কোয়ার্টার্সের পাশেই রেল লাইন। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ লাইন পেরোতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
|
আরামবাগ আদালত চত্বর এবং মহকুমাশাসকের দফতর-সংলগ্ন জায়গা থেকে সরে গেলেন দখলদারেরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে তাঁরা নিজেরাই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলেন কিংবা গুমকি সরিয়ে নেন। সংলগ্ন পুকুর পাড়ে নির্মিত বাসগৃহও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ওই সব ব্যবসায়ীদের আশা, প্রশাসন বিকল্প ব্যবস্থা করবে। |