বালি মাফিয়াদের দাপটে দামোদর ও অজয় নদের বেশ কয়েকটি জায়গায় নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপন্ন হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি সেতু। তাই জেলাশাসককে অবিলম্বে এই অবৈধ পরিবহণ ও পাচার রুখতে তৎপরতার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মঙ্গলবার বর্ধমানে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তথা জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নুরুল ইসলামের স্মরণসভায় যোগ দিতে এসে এমনটাই জানিয়েছেন মানসবাবু।
সেচমন্ত্রী বলেন, “খবর পেয়েছি, জেলার সমস্ত রাস্তা দিয়ে অবাধে বালির অবৈধ পরিবহণ চলছে। আমাদের সেচ দফতরের বেশ কয়েকটি বাঁধ এই বালি বোঝাই ট্রাকের দাপাদাপিতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক জায়গায় নদী বাঁধ কেটে ফেলা হয়েছে বালি বোঝাই ট্রাক চলাচলের সুবিধার জন্য। জেলাশসাককে অবিলম্বে এ সব রুখতে বলেছি।”
জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা জানান, প্রশাসনের তৎপরতায় জেলার বালি পরিবহণ বাবদ রাজস্ব আদায় বেড়েছে। গত বার এই রাজস্বের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯ কোটি টাকা। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ কোটিতে। রাজস্ব ফাঁকি রুখতে প্রতি দিনই নানা ব্লকে অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু কোথায় নদী বাঁধ কেটে ফেলা হয়েছে বা সেতু দুর্বল হয়ে পড়েছে, সে তথ্য প্রশাসনের হাতে নেই। জেলাশাসক বলেন, “মন্ত্রীকে বলেছি, কোথায় নদীবাঁধ কেটে ফেলে ট্রাক চলাচল করছে, বালি বোঝাই ট্রাক চলাচলে কোন সেতু জীর্ণ হয়ে পড়েছে, তার তালিকা দিতে। তা হাতে পেলেই আমরা পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলব।” মন্ত্রী বলেন, “সেচ দফতরকে জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই তালিকা দিতে বলা হয়েছে।” |