সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অন্য সময়ে পাড়ার ক্লাব।
আর ক্লাবের ছেলেরা চাবি হারিয়ে ফেলেছে বলে শনিবার থেকে কাঁকসার প্রয়াগপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পড়াশোনা চলছে গাছতলায়। মাথার উপরে চড়া রোদ। এই ক’দিনেই পড়ুয়ার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে চার-পাঁচ জনে। মঙ্গলবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি খুলতেই অবিলম্বে ওই কেন্দ্রের জন্য নিজস্ব ভবন তৈরির দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই দশক আগে ক্লাব ঘরেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চালু হয়। ঘরটির দু’টি চাবি রয়েছে। একটি থাকে ক্লাবের সদস্যদের কাছে। অন্যটি সহায়িকাদের কাছে। শুক্রবার ক্লাবের সদস্যদের কাছে থাকা চাবিটি হারিয়ে যায়। তারা সহায়িকাদের কাছে চাবিটি নিয়ে ঘর খোলে।
সমস্যার সূত্রপাত তার পরেই। |
অভিযোগ, সেই চাবিটি আর ফেরত দেওয়া হয়নি সহায়িকাদের। ফলে শনিবার থেকে ঘর খুলতে পারছেন না তাঁরা। তাই পড়ুয়াদের তাঁরা বসাচ্ছেন সামনের গাছতলায়। নর্দমা থেকে দুর্গন্ধ ভেসে আসছে। আবার একটু বেলা বাড়লেই রোদের তীব্রতা বাড়ছে। ফলে বেশির ভাগ অভিভাবকই তাঁদের ছেলে-মেয়েদের পাঠাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়ার সংখ্যা একেবারে কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সহায়িকা বেলা ঘরুই, অঞ্জু চৌধুরীরা।
মঙ্গলবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি খুলতেই অভিভাবকেরা ভিড় জমান। তবে ক্লাবের কোনও সদস্যের দেখা মেলেনি। এক অভিভাবক নাজু বিবি বলেন, “অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি না থাকাতেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার বাড়ি তৈরির উদ্যোগ করুক।” উপস্থিত হন কাঁকসা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনকে জানান।
সমস্যার কথা জানতে পেরে খোঁজখবর শুরু করেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক আয়েষা রানি এ। তিনি জানান, আজ, বুধবার থেকে ফের যাতে আগের জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ফিরে যায় সে ব্যাপারে তিনি উদ্যোগী হবেন। |