বেহাল আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রাস্তা পরিদর্শনে গেল আসানসোল মহকুমা প্রশাসনের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। আসানসোলের এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় পালের নেতৃত্বে গঠিত ওই তদন্তকারী দলে ছিলেন পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার হেমন্ত বক্সী ও সালানপুরের বিডিও জয়দীপ দাস। মঙ্গলবার তাঁদের উপস্থিতিতেই রাস্তা সংস্কারের সরঞ্জাম ও কাঁচামাল এলাকায় জড়ো করা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে জানিয়েছে তদন্তকারী দলটি।
এই রাস্তায় যাতায়াতকারী যাত্রিবাহী যানবাহনগুলির মালিকপক্ষ প্রশাসনের কাছে জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা ওই রাস্তায় আর বাস চালাবেন না। এর পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এ দিন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তদন্তকারী দলটির প্রধান এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় পাল বলেন, “রাস্তাটি বেহাল। বেশ কিছু দিন আগেই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার কাজ শুরু করেননি। সরঞ্জাম ও কাঁচামাল জড়ো করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে কাজ শুরু হবে।” ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই সঞ্জয়বাবু ওই ঠিকাদারকে ডেকে পাঠান ও দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। এই রাস্তাটির জন্য প্রায় ৬১ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সঞ্জয়বাবু। |
কুলটির নিয়ামতপুর মোড় থেকে রূপনারায়ণপুর হয়ে চিত্তরঞ্জনের তিন নম্বর গেট পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার ওই আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রাস্তাটি গত দেড় বছর ধরে বেহাল। প্রতি দিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। যানবাহনের যন্ত্রাংশ ভেঙে যাচ্ছে। লোকসানের ভয়ে বাস চালানো বন্ধ করে দিচ্ছেন মালিকেরা। আসানসোল থেকে সালানপুর, রূপনারায়ণপুর, সামডি, কল্যাণেশ্বরী, চিত্তরঞ্জন যাওয়ার জন্য এটিই একমাত্র রাস্তা হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা।
পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই রাস্তাটি খোলনলচে বদলে আরও চওড়া করে তৈরির সরকারি অনুমোদন মিলেছে। এর জন্য সরকার ২০ কোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দ করেছে। পুজোর পরেই কাজ শুরু হবে। |