টাকা জমা দেওয়ার পরে এক বছর কেটে গেলেও মালদহের ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজারে দোকান ঘর না-মেলায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। ক্ষোভের বড় কারণ, ছোট ব্যবসায়ীদের দোকান বিলি নিয়ে গড়িমসি করা হলেও বাজার সমিতির কিছু কর্মী ও আধিকারিক নার্সিংহোমের মালিক এবং অন্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে দোকানগুলি বিক্রির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত লটারি করে দোকান ঘর বিলির দাবি তুলেছে মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার্স অব কমার্স। সংগঠনের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডুর অভিযোগ, “দোকান ঘরের জন্য নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি অগ্রিম টাকা নিয়েও গড়িমসি করছে। এক মাসের মধ্যে যদি দোকান ঘর ব্যবসায়ীদের মধ্যে লটারি করে বিলি না করা হয় তবে আন্দোলনে নামব।” নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি সচিব সমর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “৯ ফেব্রুয়ারি এখানে কাজে যোগ দিয়েছি। কেন দোকান ঘর বিলি করার ব্যাপারে লটারি হয়নি এখনই তা বলতে পারব না। তবে দোকান ঘর বিলি করার জন্য জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব লটারির চেষ্টা হবে।” বাজার সমিতির চেয়ার ম্যান তথা জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা জানান, টাকা জমা দেওয়ার পরেও ছোট ব্যবসায়ীরা যে এখনও দোকান ঘর পাননি, সেই ব্যাপারে কেউ তাঁকে এত দিন কিছু জানাননি। তিনি বলেন, “এত দিন ধরে কেন লটারি হয়নি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজারে সবজি ব্যবসায়ীদের জন্য ১৬৮টি, ফল ব্যবসায়ীদের জন্য ৮০টি দোকান ঘর রয়েছে। ১৭৮টি মাল্টিপারপাস দোকান ঘর রয়েছে। ২০১০ সালে মার্কেট কমিটি ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ৪৩ দোকান ঘর বিলির ব্যাপারে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেয়। জেলার হাজার খানেক ছোট ব্যবসায়ী ৪০০ টাকা দিয়ে আবেদনপত্র কিনে দোকান ঘরের জন্য আবেদনপত্র দেন। বাজার সমিতির পক্ষ থেকে দু’মাসের মধ্যে দোকান ঘর বিলির আশ্বাস দেওয়া হয়। ওই আশ্বাস পেয়ে ২০১০ ডিসেম্বর মাসেই প্রায় ৮০০ ব্যবসায়ী ৫০০০ টাকার ব্যাঙ্ক ড্রাফট বাজার সমিতির কাছে জমা দেয়। কবে দোকান ঘর মিলবে তা জানতে চেয়ে সমিতির দফতরে গেলে আবেদনকারী ব্যবসায়ীদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গৌড় রোড়ের ছোট ব্যবসায়ী টিঙ্কু ভৌমিক বলেন, “যে সময় ইংরেজ বাজার রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি দোকান ঘর বিলি করার জন্য বিজ্ঞাপন দেয় তখন হাতে টাকা ছিল না। স্ত্রীর কানের দুল বিক্রি করে ৫ হাজার টাকা জোগাড় করি। এখনও দোকান পেলাম না। কবে দোকান ঘরের লটারি হবে তা জানতে চেয়ে রেগুলেটেড মার্কেটের অফিসে গেলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দিচ্ছে।” |