জলকষ্ট শুরু ২৮ মাইলে
রম পড়তেই পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার ডুয়ার্সের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকার ২৮ মাইল বনবস্তি। এলাকায় বন দফতরের পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। বেশির ভাগ বাসিন্দাকে পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে হয় স্থানীয় একটি ঝোরার জল থেকে। জলের সেই উৎসও শুকিয়ে আসায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। বহুদিন ধরে দাবি জানানোর পরেও প্রশাসন এই ব্যাপারে উদ্যোগী না-হওয়ায় আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে আরএসপি। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র অবশ্য সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “২৮ মাইল ও ২৯ মাইল বনবস্তিতে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আমরা শীঘ্র আলোচনা করে সীমান্ত এলাকায় উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের কাজ শুরু করব। বিষয়টি নিয়ে বন দফতরের সাথে আলোচনা করা হবে।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা রবীন্দ্র পাল সাইনি বলেন, “২৮ মাইল, ২৯ মাইল এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের জন্য সেখানে বোরিং করে গভীর নলকূপ বসানো হয়েছিল। জল সরবরাহের জন্য পাম্প সেটও লাগানো হয়। প্রাকৃতিক কারণে তা সাফল্য পায়নি। এলাকার এসএসবি ক্যাম্পের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে যাতে যৌথভাবে সেখানে পানীয় জল সরবরাহ করা যায়।”
ছবি: নারায়ণ দে।
কালচিনির জেলা পরিষদের সদস্য আরএসপির রামকুমার লামা জানান, বন দফতরের বসানো গভীর নলকূপ ও পাম্পসেট দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিকল হয়ে থাকলেও তা সারানোর ব্যবস্থা হচ্ছে না। তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরা বন দফতর ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের জানিয়েছি। পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না-হলে আরএসপির আন্দোলনে নামবে।” কালচিনি ব্লকের রাজাভাতখাওয়া পঞ্চায়েতের অধীন ২৮ ও ২৯ মাইল বনবস্তিতে সান্তলাবাড়ি এলাকার হাওদা জঙ্গলের ভেতর স্থানীয় একটি ঝোরা থেকে পাইপের সাহায্যে অপরিশ্রুত পানীয় জল বনবস্তিগুলিতে যাচ্ছে। সেখানে বন দফতরের তৈরী কয়েকটি পাকা ট্যাঙ্কের মধ্যে জল ধরে তা ব্যবহার করছেন গ্রামবাসীরা। এই পানীয় জল সংগ্রহের উৎস মুখটিতে নান ধরনের পোকা ব্যাঙাচি থাকলেও সেই জল খেতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ। সেই কারণে এই এলাকায় পেটের অসুখ, নিয়মিত ঘটনা। কালচিনি ব্লকের বিডিও থেন্ডুপ শেরপা বলেন, “পাশ্ববর্তী চুনাভাটি ঝোরা থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে এই তিনটি এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের জন্য সমীক্ষা চালিয়েছি। প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ করে পানীয় জলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে।” এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত দুর্গা অধিকারী অভিযোগ করেন, বন দফতরের তরফে বক্সা রোড বিট অফিসে কয়েক বছর আগে নলকূপ বসিয়ে পাম্পের সাহায্যে জল সরবরাহের ব্যবস্থা হয়। এখন সেটি বেহাল। তিনি বলেন, “সান্তলাবাড়ি এলাকায় পানীয় জলের যে উৎস রয়েছে সেখানে নানা ধরনের পোকামাকড় থাকে। সেই জল পাইপের সাহায্যে সরাসরি আমাদের গ্রামে ট্যাঙ্কগুলিতে আসছে। এবং সেই জল আমাদের খেতে হচ্ছে। বহু বলা সত্ত্বেও বন দফতর বা জেলা প্রশাসন জলের ব্যবস্থা করছে না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.