|
|
|
|
কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে যাওয়ায় অসুবিধা |
পাকা রাস্তা নির্মাণের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
এলাকার কৃষিজ সামগ্রী দ্রুত বাজারে পৌঁছে দিতে পাকা রাস্তার দাবিতে আন্দোলনে নামলেন ময়নাগুড়ির মাধবডাঙা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। টানা কয়েক বছর সেতুর দাবিতে আন্দোলন করেছেন তাঁরা। দাবি আদায় হয়েছে। সেতু তৈরির কাজ চলছে। এ বার পাকা রাস্তার দাবি আদায়ে একই কায়দায় আন্দোলন শুরু হল। যদিও জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপ্তি দত্ত বলেন, “সেতু তৈরির কাজ শেষ না করা পর্যন্ত ওই এলাকার রাস্তা পাকা করা সম্ভব নয়।” তবে সভাধিপতি যাই বলুন না কেন তাঁর দল সিপিএমের যুব সংগঠনের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা অপেক্ষায় থাকতে নারাজ। ইতিমধ্যে পাকা রাস্তার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার পরে ফের ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাধবডাঙা গ্রামের বাসিন্দা তথা সিপিএমের মাধবডাঙা-১ ব্রাঞ্চ কমিটির সম্পাদক বিহারীলাল শর্মা বলেন, “সেতু তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পরে পাকা রাস্তার দাবিতে যুব সংগঠনের কর্মীরা আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।” গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের স্থানীয় নেতা গৌরাঙ্গ শর্মা বলেন, “রাস্তা পাকা না-হলে শুধু সেতু তৈরি করে লাভ হবে না। ওই দাবিতে ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দারাও প্রশ্ন তুলেছেন, বর্ষা কালে কাঁচা রাস্তায় যাতায়াত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। কেন ওই সমস্যার সমাধান হবে না! ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে গ্রামের পেট চিরে যাওয়া প্রায় ১০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা উঠেছে রাজারহাটে। বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তাটি পাকা হলে উত্তর মাধবডাঙা গ্রামের ছবি পাল্টে যাবে। উপকৃত হবেন ধর্মপুর, বার্নিশ ও পদমতি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। ধর্মপুরের জোরপাকড়ি বাজার থেকে এখন প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে রাজারহাট মোড় হয়ে ময়নাগুড়ি শহরে যাতায়াত করতে হয়। সেতু তৈরির পাশাপাশি রাস্তা পাকা হলে ওই দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ১৫ কিলোমিটার। গ্রামের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল সম্ভব হবে। খেতের ফসল সহজে বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাওয়া যাবে। প্রয়োজনে বাইরের পাইকারি ক্রেতারা গ্রাম থেকে পছন্দের সবজি নিয়ে যেতে পারবেন। ধরলা নদী ঘেরা উত্তর মাধবডাঙা এলাকায় রয়েছে ৬টি বুথ। গ্রামের পাশে ডুয়ার্সের অন্যতম পুরানো রাজারহাট। সেখানে সোমবার ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। কিন্তু নদীর জন্য স্থানীয় চাষিরা ওই হাটে সহজে খেতের ফসল নিয়ে যেতে পারে না। শীতের মরশুমে হাঁটু জল ভেঙে কোনও মতে পারাপার করা সম্ভব হলেও বর্ষায় উপায় থাকে না। ওই ভোগান্তি কাটাতে সেতুর দাবিতে গ্রামের বাসিন্দারা টানা পাঁচ বছর আন্দোলন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ওই দাবি মেনে নিয়ে সেতু তৈরির কাজ শুরু করেন। এর পরে স্থানীয় চাষি মহলে প্রশ্ন ওঠে মাটির রাস্তা পাকা না-হলে শুধু সেতু দিয়ে কী হবে! দেরি না-করে তাঁরা রাস্তার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। |
|
|
|
|
|