জতুগৃহে ‘নিধিরাম’ দমকল
য়টি জেলা। ৫টি ডিভিশনাল অফিস। ২৪টি দমকল কেন্দ্র। কোনও ডিভিশনেই অফিসার নেই। একজন মাত্র ডেপুটি ডিরেক্টর। তিনিও অস্থায়ী। তাঁকে পাওয়া যায় মাসে একবার। এটাই দমকলের উত্তরবঙ্গ জোনের বর্তমান চিত্র। এই অবস্থায়, ক্ষোভ চরমে উঠেছে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, লাইন্সেস পেতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। নবিকরণের কাজেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তা মনিটরিং করবে কে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী আমরিতে অগ্নিকাণ্ডের পরে শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ভবনের ‘ফায়ার সিকিউরিটি’ খতিয়ে দেখার যে কাজ শুরু হয়েছিল তাও থমকে গিয়েছে। দমকলের প্রশাসনিক কাজকর্মেও সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দমকলের উত্তরবঙ্গের জোনের অস্থায়ী ডিরেক্টর গৌরপ্রসাদ ঘোষ বলেন, “আমি পূর্ব জোনের দায়িত্বে রয়েছি। আমাকে অতিরিক্ত হিসেবে অস্থায়ী ভাবে উত্তরবঙ্গ জোনের দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সময়মতো গিয়ে সমস্ত কাজ করে দিচ্ছি। কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। পরে স্থায়ী ডেপুটি ডিরেক্টর দেওয়া হবে বলে আমার কাছে খবর রয়েছে।” দমকলের কাজ স্বভাবিক করার দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নর্থ বেঙ্গল ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সম্পাদক সুরজিৎ পাল বলেন, “স্থায়ী আধিকারিক না থাকায় নানারকম সমস্যায় আমাদের পড়তে হচ্ছে। লাইন্সেস নিয়ে সমস্যা তো রয়েইছে, পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগও আমরা পাচ্ছি। একজন আধিকারিক থাকলে তিনি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিতে পারতেন। কিন্তু সেরকম কেউ না থাকায় কিছু হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের বাইরে কোনও পথ নেই।” দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে মূলত একজন ডিপুটি ডিরেক্টর এবং পাঁচ জন ডিভিশনাল অফিসার থাকার কথা। কিন্তু, রায়গঞ্জ, কোচবিহার এবং মালদা ডিভিশন এখনও চালু করতে পারেননি দমকল কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি ডিভিশন চালু থাকলেও সেখানে কোনও আধিকারিক নেই। দুই বছর ধরে উত্তরবঙ্গে ডেপুটি ডিরেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয় উদয়নারায়ণ অধিকারীকে। ৩১ জানুয়ারি তিনি অবসর নেন। ওই দিনই দায়িত্ব দেওয়া হয় গৌরপ্রসাদবাবুকে। দায়িত্ব নেওয়ার পরে তিনি দু’বার মাত্র উত্তরবঙ্গ জোনের অফিসে বসেছিলেন বলে অভিযোগ। স্বাভাবিক ভাবেই, দমকলের সমস্ত কাজকর্ম থমকে গিয়েছে। দমকলের এক কর্তা জানান, দমকলের কর্মীরা ঠিকমতো অফিসে আসছেন কী না তা মনিটরিং করার জন্য অফিসার থাকা জরুরি। এ ছাড়া কোথাও বড় কোনও অগ্নিকাণ্ড হলে সিনিয়র অফিসাররা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন। তার কোনওটাই হচ্ছে না। শিলিগুড়ির কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, শহর কার্যত জতুগৃহে পরিণত হয়েছে। তা দমকলের বিভিন্ন রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে। মাঝে মধ্যেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। আমরিতে অগ্নিকাণ্ডের পর শিলিগুড়িতে বিভিন্ন শপিং মল, রেঁস্তোরা, হোটেল-সহ বহুতলের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। তা থমকে গিয়েছে। ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “দমকলের উন্নতির জন্য বহুদিন থেকে লড়াই করছি। স্থায়ী ডেপুটি ডিরেক্টর যখন ছিলেন কিছু কাজ হচ্ছিল। আবার তা থমকে গিয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.